কথা রাখেনি বিসিবি,মহাবিপদে জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো!

৪ দিন আগে
কথা দিয়েও কথা রাখেনি বিসিবি। টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রতিটি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ক্রিকেট কার্নিভালের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা দেয়ার কথা থাকলেও, দেড় মাস পরও সেই অর্থ হাতে পায়নি সংস্থাগুলো। স্কুল ক্রিকেটের জন্য স্পন্সর প্রতিষ্ঠান গেলো জানুয়ারিতে বিসিবিকে অর্থ বুঝিয়ে দিয়েছে, সে টাকাও জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে দেয়নি বিসিবি। নিজেদের টাকায় ইভেন্ট আয়োজন করে বিপাকে কর্মকর্তারা, অসহায়ত্বের কথা জানান সময় সংবাদে। বিসিবি জানিয়েছে অভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে সময় মতো অর্থ দিতে পারেনি তারা।

দায়িত্ব নিয়ে টাইগারদের টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা দেশের ক্রীড়াসংস্থার ঘুম ভাঙাতে চেয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু এ আয়োজনের পেছনে আছে চরম অনিয়মের গল্প। শুধু তাই নয়, সময় সংবাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের অর্থ বরাদ্দ নিয়েও বিসিবির অনিয়মের চিত্র।


টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রতিটি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে বিসিবি নির্দেশনা দেয় অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল আয়োজনের। প্রতি জেলায় বরাদ্দ থাকে ২৫ হাজার টাকা। নিজেদের অর্থে কার্নিভাল আয়োজন করে এখন বিপদে জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো। দেড় মাস পার হলেও, জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো পায়নি প্রতিশ্রুত সে অর্থ।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক অফিসার বলেন, 'বিসিবি'র চিঠি পাওয়ার পর আমি কামরুল ভাইকে (বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ) ফোন দিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, এ আয়োজনের আনুষাঙ্গিক খরচের জন্য টাকা লাগবে। তিনি বললেন, আপনারা বাস্তবায়ন করেন আমরা ২৫ তারিখের পর দুই-তিন দিনের মধ্যে টাকা পাঠিয়ে দিবো। যখনই বিসিবির কোনো প্রোগ্রাম আসে তখনই আমাদের ভিসি স্যার বলেন, আপনাদের এই প্রোগ্রামের বরাদ্দ আসছে কিনা। যদি বরাদ্দ আসে, তাহলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়ে আসেন। এখন টাকা না আসলে আমরা কীভাবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাবো?'  


আরও পড়ুন: ক্রিকেটারদের আচরণবিধি শেখাবে বিসিবি


শুধু কার্নিভাল নয়, প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটেও হয়েছে আর্থিক অনিয়ম। বিসিবির নির্দেশনায় টুর্নামেন্ট শুরু হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অংশগ্রহণ করা স্কুল এবং খেলা পরিচালনার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোতে অর্থ পাঠানোর কথা বিসিবির। কিন্তু এতোদিনেও সেটা পৌছায়নি।


দেশের সব জেলা ক্রীড়া সংস্থা চলছে অ্যাডহক কমিটিতে, চাইলেও তারা ব্যবহার করতে পারে না ক্রীড়া সংস্থার ফান্ডের অর্থ। বিসিবি থেকে টাকা না পেয়ে নিজেদের পকেটের অর্থ ব্যয় করে আয়োজন করা হয় টুর্নামেন্টগুলো। অংশগ্রহণ করা স্কুলগুলো টাকা না পেয়ে ধরনা দেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থায়। শুনতে হয় কটুকথাও। বিসিবি'র স্বেচ্ছাচারিতার শিকার জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক অফিসার বলেন, '(স্কুল ক্রিকেট) ট্রফি বিসিবি দেয়, তবে প্যান্ডেল, মাঠ নিজেদের খরচে করিয়েছি। স্কুলগুলো টাকার জন্য সকাল-সন্ধ্যা ফোন দেয়। বাধ্য হয়ে ব্লক করে রেখেছি। ফাইনাল হয়ে গেছে দুই-এক মাস আগে। প্রাইম ব্যাংক তো টাকা দেয়, তবে কেনো বিসিবি টাকা দেয় না আমাদের?'


তবে, বড় প্রশ্ন, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংক জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বিসিবিকে পরিশোধ করেছে পুরো অর্থ। তাহলে সেই টাকা কোথায় গেল?


আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নেয়ার পর, বিসিবিতে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন