পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৬ দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন। আগামী শনিবার (১৪ জুন) নাগাদ এই সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১১টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেছে, ঢল নেমেছে ভ্রমণপিপাসুদের। কেউ সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, কেউবা টিউব ও জেটস্কি নিয়ে মেতে উঠেছেন সাগরের নোনাজলে। কেউ বিচ বাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আবার কেউ ছাতার নিচে বসে হিমেল বাতাস উপভোগ করছেন। অধিকাংশ পর্যটক স্মৃতি ধরে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছবি তোলায়।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক ওমর বলেন, ‘নোনাজলে গা ভিজিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গেলে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করা যায়। তাই ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার চলে এসেছি।’
আরেক পর্যটক রুমানা আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটি মানেই প্রিয়জনদের নিয়ে কক্সবাজার আসা। মেরিন ড্রাইভ ঘোরা, সাগরে গা ভাসানো ছাড়া ঈদ আনন্দ পূর্ণ হয় না।’
শুধু সমুদ্রসৈকত নয়, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ারটেক, মেরিন ড্রাইভ, রামুর বৌদ্ধবিহার, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ জেলার অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রেও পর্যটকের ভিড় বেড়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, সৈকতে ভ্রমণপিপাসুদের উচ্ছ্বাসের জোয়ার
কক্সবাজার বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পর্যটকের আগমন বাড়ায় কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, ৪ শতাধিক রেস্তোরাঁ এবং বার্মিজ পণ্যের দোকানগুলোতে ভালো ব্যবসা হচ্ছে।’
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘পর্যটকদের হয়রানি রোধে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে।’
]]>