অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন। রোববার (৭ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, এতদিন কাজি পদে আবেদন সীমাবদ্ধ ছিল শুধুমাত্র আলিম সনদধারীদের জন্য। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দাওরায়ে হাদিসসহ কওমি ডিগ্রিধারীদের জন্য রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ তৈরি হলো।
আরও পড়ুন: কওমী মাদরাসার সনদকে কার্যকর করার চেষ্টা চলছে: ধর্ম উপদেষ্টা
তিনি আরও জানান, কওমি সনদধারীদের রাষ্ট্রীয় কাজে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া সময়ের দাবি ছিল। দেশের স্বীকৃত ইসলামি উচ্চশিক্ষা অর্জনকারীদের ন্যায়সংগতভাবে সুযোগ নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব।
আইন সংশোধনের ফলে আজ থেকেই কওমি বোর্ডস্বীকৃত দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এটি দেশের ইসলামি শিক্ষা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রের সমন্বয়ে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।
কওমী মাদ্রাসা বাংলাদেশে প্রচলিত প্রধান দুই ধারার মাদ্রাসার মধ্যে একটি। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত ও দারুল উলুম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় আলেমদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্রকে কওমি মাদ্রাসা বলা হয়।
১৮৬৬ সালে দারুল উলুম দেওবন্দের গোড়াপত্তনের মাধ্যমে এধরনের শিক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়। দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসরণে ১৯০১ সালে দারুল উলুম হাটহাজারী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সূত্রপাত ঘটে। কওমী মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান প্রদান আইন, ২০১৮-র মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এর অধীনে সরকার স্বীকৃত ছয়টি শিক্ষাবোর্ড আছে। ২০২২ সালে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি। এ মাদ্রাসাসমূহে প্রায় ৩০ লাখের উপরে শিক্ষার্থী পড়া-লেখা করেন। তাদের সনদ থাকলেও সনদের কার্যকরী কোনো স্বীকৃতি নেই। এ স্বীকৃতির কার্যকারিতার জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

১ দিন আগে
২





Bengali (BD) ·
English (US) ·