গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ডালাসের ডাউনটাউন সুইটস মোটেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চন্দ্রমৌলি নাগামাল্লাইয়া (৫০) ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বাসিন্দা। গত দুই-তিন বছর ধরে ওই মোটেলের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।
ঘটনার দিন নাগামাল্লাইয়া তার কর্মচারী কিউবার নাগরিক ইওরদানিস কোবোস-মার্টিনেজকে (৩৭) মোটেলের একটি ভাঙা ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মার্টিনেজ নাগামাল্লাইয়াকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।
প্রাণে বাঁচার জন্য নাগামাল্লাইয়া পার্কিং লট দিয়ে মোটেলের অফিসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মার্টিনেজ তার পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় নাগামাল্লাইয়ার স্ত্রী ও ১৮ বছর বয়সি ছেলে মোটেল অফিসে ছিলেন। তারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে মার্টিনেজকে থামানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: চার্লি কার্ককে মরণোত্তর প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম দেবেন ট্রাম্প
কিন্তু মার্টিনেজ তাদের ঠেলে ফেলে দিয়ে নাগামাল্লাইয়ার শিরশ্ছেদ করেন। এরপর লাথি মেরে মাথা পার্কিং লটে ছুড়ে ফেলেন। সিসিটিভি ক্যামেরায় হত্যার পুরো ঘটনা ধরা পড়েছে। তাতে মার্টিনেটকে নাগামাল্লাইয়ার কাটা মাথা তুলতে এবং একটি আবর্জনার বাক্সে ফেলে দিতে দেখা যায়।
কাটা মাথা ফেলে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল এসে মার্টিনেজকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে রক্তমাখা টি-শার্ট, ছুরি, নিহত নাগামাল্লাইয়ার ফোন ও কি-কার্ড উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন।
মার্টিনেজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে ডালাস কাউন্টি কারাগারে রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মার্টিনেজের আগেওসহিংস অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও হিউস্টনে তাকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড / সন্দেহভাজন খুনির ছবি প্রকাশ, ধরিয়ে দিলে কোটি টাকার বেশি পুরস্কার ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় কনস্যুলেট নাগামাল্লাইয়ার ‘মর্মান্তিক’ মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, তাকে তার কর্মক্ষেত্রে ‘নৃশংসভাবে হত্যা’ করা হয়েছে। এক এক্স পোস্টে কনস্যুলেট বলেছে, ‘আমরা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছি এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছি। অভিযুক্ত ডালাস পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছি।’