ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে পশু কোরবানি শুধু ধর্মীয় নয়; এর সঙ্গে জড়িত অর্থনৈতিক বিষয়ও। দেশে চামড়ার যোগানের ৬০ শতাংশই আসে কোরবানি থেকে। যা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন এবং রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে এবারে ঈদে গত বছরের তুলনায় কম পশু কোরবানি হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি। যার প্রভাব পড়েছে চামড়া সংগ্রহে।
বিটিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাখাওয়াত উল্ল্যাহ বলেন, এবার দেশে ১৫-২০ শতাংশ কোরবানি কম হয়েছে। তাই এবার ৮০-৮৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ৯১ লাখ পশু কোরবানি, সবচেয়ে বেশি-কম কোন বিভাগে
পশু কোরবানি কম হওয়ার পিছনে অবিক্রীত পশুর কথা তুলে ধরেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সংস্থাটি হিসেব করে দেখিয়েছে, এ বছর ৩৩ লাখ ১০ হাজারের মত কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল। মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কোরবানিতে।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমই) সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলতান বলেন, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। দেশের বড় বড় নেতারা পলাতক। আবার যারা গতবার ৫টি পশু কোরবানি দিয়েছে, তারা এবার দিয়েছে একটি।
এবারের ঈদুল আজহায় সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। আর, বরাবরের মতেই সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয় ঢাকায়, এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
]]>