বুধবার (৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিলে সৌদি প্রবাসীরা দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কাতার।
আরও পড়ুন: দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে আরব আমিরাত থেকে। আর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে এপ্রিলে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৩ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার, ২৯ কোটি ৪১ লাখ, ২১ কোটি ৯ লাখ, ১৬ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার, ১৫ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার, ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার, ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ও ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
এদিকে এপ্রিলে দেশে এসেছে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো এক মাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৮ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬১ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দাপট কমায় বৈধ চ্যানেলে বাড়ছে প্রবাসী আয়!
গত মার্চে দেশে এসেছে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার।
আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
]]>