সোমবার (৫ মে) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত এপ্রিলে বেড়েছে দেশের রফতানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের মার্চে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাত
এপ্রিল মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ২৩৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার।
আরও পড়ুন: মার্কিন বাজারে পোশাক রফতানিতে হিসাব কষে নীতি-কৌশল সাজানোর তাগিদ
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৩১ কোটি ৪ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ১০৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, এপ্রিলে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে হোম টেক্সটাইল ও কৃষি পণ্যের রফতানি কমেছে। তবে বেড়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ২৮ লাখ ডলারে।
এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৪ লাখ ডলার। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ। এপ্রিলে রফতানি হয়েছে ৮ কোটি ৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
এদিকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৪ হাজার ২০ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।