সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নির্দেশে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ম্যান্ডেলসনকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘পিটার ম্যান্ডেলসনের লেখা কিছু অতিরিক্ত ইমেইল প্রমাণ করে যে, এপস্টাইনের সঙ্গে তার সম্পর্ক আগে যেটুকু জানা গিয়েছিল, তার চেয়ে অনেক গভীর ও বিস্তৃত ছিল। এই নতুন তথ্যের ভিত্তিতেই ম্যান্ডেলসনকে পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থিদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৪ শতাধিক
ব্রিটেনের লেবার পার্টির বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ টনি ব্লেয়ারের সময় দলীয় সাফল্যের মূল কারিগর ছিলেন পিটার ম্যান্ডেলসন। সম্প্রতি এপস্টাইনের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ২০০৩ সালে তৈরি একটি অ্যালবাম যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা প্রকাশ করলে বিতর্ক শুরু হয়। সেই অ্যালবামে ম্যান্ডেলসন লেখেন, ‘মাই বেস্ট পল’।
এছাড়া ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে এপস্টাইন যখন শিশুর সঙ্গে যৌন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে সাজা পেতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তার আগে ম্যান্ডেলসন তাকে ইমেইলে লেখেন: আমি তোমার জন্য সবকিছু ভাবি। মুক্তির জন্য লড়াই করো।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগ
ব্রিটিশ সরকার বলছে, এপস্টাইনের প্রথম সাজাকে ‘ভুল বিচার’ হিসেবে মেনে সেটি চ্যালেঞ্জ করার জন্য ম্যান্ডেলসনের পরামর্শ ছিল ‘নতুন তথ্য’, যা তার দায়িত্ব পালনের জন্য অনুপযুক্ত বলে প্রমাণ করে।
পিটার ম্যান্ডেলসন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি টনি ব্লেয়ার এবং গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন মন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
]]>