এনসিএল ফাইনাল: মিঠুন-মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাটে রংপুরের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি খুলনার

১ সপ্তাহে আগে
ফাইনালের আগে খুলনাকে শিরোপা উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছিলেন দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তবে শিরোপার মঞ্চে সেরকম প্রত্যাশিত শুরু পায়নি টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দলটি। রংপুরের স্পিনারদের দাপটে পাওয়ারপ্লেতেই বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। পরবর্তীতে সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক মিঠুন এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। কিন্তু শেষদিকে আবারও পথ হারায় খুলনা। আর তাতে শিরোপার মঞ্চে আকবর আলীর রংপুরকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি খুলনা।

ফাইনালে টস জিতে শুরুতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুরের অধিনায়ক আকবর। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে খুলনা। 

 

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা। ইমরানুজ্জামানকে শুন্য রানে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে ফেলে খুলনার ব্যাটাররা। নাসির হোসেন, নাসুম আহমেদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কোনো পাত্তাই পাচ্ছিলেন না সৌম্য সরকার এবং এনামুল হক বিজয়। পাওয়ারপ্লেতে কেবল ১৯ রান করতে পারে খুলনা।

 

আরও পড়ুন: বিপিএল আয়োজনের মাঠ পরিদর্শনে রাজশাহীতে বিসিবি কর্মকর্তারা 

 

দলীয় ১৯ রানের মাথায় রানআউটে কাটা পড়েন এনামুল হক বিজয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১২ রান। সৌম্য সরকার খেলছিলেন একটু ধীরগতিতেই। ২২ বলে মাত্র ৮ রান করে বিদায় নেন আবু হাসিমের বলে বোল্ড হয়ে।

 

আফিফ হোসেন ফিরেছেন দ্রুতই। ১০ বলে ১৪ রান করে ইকবাল হোসেনের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেখ পারভেজ জীবন ফেরেন ৯ বলে ৮ রান করে। এনামুল হকের বলে নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।  

 

আরও পড়ুন: বাই ও লেগ বাই ছাড়া সর্বোচ্চ রান করে বাংলাদেশের রেকর্ড কেড়ে নিলো ভারত


নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তাকে সঙ্গ দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ১৩ বলে ২৪ রান করে আলাউদ্দিন বাবুর বলে বদলি খেলোয়াড় রাফিউজ্জামান রাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরে মৃত্যুঞ্জয়।


এরপর টিকতে পারেননি মিঠুনও। ৩২ বলে ৪৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান আব্দুল্লাহ আল মামুন। শেষদিকে আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থাকে খুলনার ইনিংস। রংপুরের হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন নেন দুটি উইকেট। এছাড়া নাসুম, আবু হাসিম, ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ এনামুল ও আলাউদ্দিন বাবু নেন একটি করে উইকেট।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন