জয়ের জন্য রোববার (১ ডিসেম্বর) ১০৪ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাজবল ক্রিকেট খেলে রেকর্ড গড়েছে ম্যাককলামের শিষ্যরা। ১২.৪ ওভারে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয় পায়, রানরেট ৮.২১। একশর বেশি রান তাড়ায় এটা সবচেয়ে দ্রুততম জয়। আগের দ্রুততম জয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে ওভারপ্রতি ৬.৮২ রান তুলে জিতেছিল তারা।
এ জয়ের ফলে ইংল্যান্ড তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। পরের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১৪ ডিসেম্বর।
৩১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিলেন ড্যারেল মিচেল। তার সঙ্গে ছিলেন বোলিং অলরাউন্ডার নাথান স্মিথ। স্মিথ ফিরে যান ২১ রান করে। ম্যাট হেনরি করেন ১, টিম সাউদি ১২। এরপর উইলিয়াম ও’রোরকের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন মিচেল। কার্সের ওভারে ক্রিস ওকসকে ক্যাচ দিয়ে ৮৪ রানে ফিরেন তিনি। ও’রোরকে করেন ৫। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪২ রানে ৬ উইকেট নেন কার্স, আগের ইনিংসে শিকার করেছিলেন ৪ উইকেট।
আরও পড়ুন: শুরুর বিপর্যয় সামলে নির্বিঘ্নে দিন পার বাংলাদেশের
লক্ষ্য তারা করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ইংল্যান্ড জ্যাক ক্রলির উইকেট হারায়। ক্রলির জন্য ম্যাচটা হয়ে থাকল বিস্বাদের। প্রথম ইনিংসে ১২ বলে ডাকের পর এ ইনিংসে ১ রান করলেন তিনি। কিন্তু বেন ডাকেট, জ্যাকব বেথেল ও জো রুট তাণ্ডব চালিয়েছেন সাউদি-স্মিথদের ওপর দিয়ে।
১৮ বলে ঝড়ো ইনিংসে ২৭ রান করে ও’রোরকের ওভারে হেনরিকে ক্যাচ দেন ডাকেট। টেস্টে এ বছর তিনি করলেন এক হাজার ৪১ রান, স্ট্রাইকরেট ৮৮.০৮। এক পঞ্জিকাবর্ষে এক হাজার রান করার দৌড়ে তার চেয়ে ভালো স্ট্রাইকরেট কেবল বীরেন্দর শেবাগের। ২০১০ সালে এ ভারত কিংবদন্তি ১ হাজার ৪২২ রান করেছিলেন ৯০.৮০ স্ট্রাইকরেটে।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে হাইব্রিড পদ্ধতিই মেনে নিচ্ছে পাকিস্তান!
এরপর বেথেল ও জো রুটের শাণিত ব্যাটে জয় পায় ইংল্যান্ড। ৩৭ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন বেথেল। অভিষেক টেস্টে অর্ধশতক করার দৌড়ে তার চেয়ে ভালো স্ট্রাইকরেট কেবল সাউদির। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০ বলে ৭০ রান করেছিলেন কিউই পেসার। রুটের ব্যাট থেকে ১৫ বলে আসে ১৩। এ নিয়ে চতুর্থ ইনিংসে তিনি করলেন এক হাজার ৬৩০ রান, পেছনে ফেললেন শচীন টেন্ডুলকারকে। চতুর্থ ইনিংসে লিটল মাস্টারের রান এক হাজার ৬২৫।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৪৯৯ রানের মধ্যে ১৭১ রানই হ্যারি ব্রুকের।