জানা গেছে, হাসপাতালে মোট ২৯টি পদ অনুমোদিত থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৬ জন। জনবল সংকট ছাড়াও রয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং হাসপাতাল ভবনের জীর্ণদশা। এ বিষয়ে রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের ইনচার্জ লাভলী মারার বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে আমাকেই কখনও কখনও চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতে হয়। ইনডোরে দায়িত্ব পালন করছি আমি ও একজন সিনিয়র নার্স এবং একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। আউটডোরে একজন ফার্মাসিস্ট ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকলেও রোগী সেবায় তেমন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ কোনো রোগী এলে লালমনিরহাট রেলবিভাগের চিকিৎসকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেয়া হয়।সেটাই রোগীকে জানানো হয়।’
আরও পড়ুন: নানা সংকটে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত পার্বতীপুর রেলওয়ে হাসপাতালটি দেশের অন্যতম বৃহৎ রেলওয়ে জংশন পার্বতীপুর ও পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা, ওয়ার্কশপ ও কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রেলকর্মী বাধ্য হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে।