মানিকগঞ্জে চলছে বোরো ধানকাটার উৎসব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে বর্তমান বাজার দরে ধান বিক্রি করলে লোকসানের আশঙ্কা কৃষকের। অবশ্য কৃষি বিভাগ বলছে, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করলে কৃষকের লোকসান হবে না।
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সোনালি ফসল কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। মানিকগঞ্জে মাঠে মাঠে এখন বোরো ধানকাটার উৎসব।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে কৃষকের দুশ্চিন্তার কারণ বাজার দর। চাষিরা বলছেন, কৃষি উপকারণের দাম বাড়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে বাজারে ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা দরে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে শ্রমিক খরচ অনেক বেশি। প্রতিমণ ধান বিক্রির টাকায় একজন শ্রমিকের খরচ দিতে হচ্ছে। এতে লোকসান হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধান কাটার আগে পোকার আক্রমণ, গাইবান্ধায় কৃষকের মুখে হতাশার ছায়া
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করলে কৃষকের লোকসান হবে না। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, চলতি বছর জেলায় কৃষকদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৩৮ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। প্রতি কেজির দাম হবে ৩৬ টাকা।
এরই মধ্যে কৃষকরা গুদামে ধান দেয়া শুরু করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সামনে ধানের দাম কিছুটা বাড়লে কৃষকরা উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর মানিকগঞ্জ ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
]]>