এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

৪ সপ্তাহ আগে
সপ্তাহখানেক পরই পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের ১৭তম আসরের। তারই প্রস্তুতি হিসেবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল টাইগারদের সিরিজ নিশ্চিতের লড়াই। আর এ ম্যাচে ডাচদের ৯ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো লিটন দাসের দল।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে নেদারল্যান্ডসকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তবে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি তারা। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪০ রান তুলতেই টপ-অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারায় সফরকারী দল। 

 

তাসকিন-নাসুম-মোস্তাফিজের বোলিংয়ে সামনে দাঁড়াতেই পারেননি কোনো ব্যাটার। বিক্রমজিৎ, শারিজ আহমেদ ও আরিয়ান দত্ত ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ১৫ বল বাকি থাতকেই ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। 

 

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। উদ্‌বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৪০ রান। কাইল ক্লেইনের বলে এডওয়ার্ডসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ইমন ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৩ রান। 

 

এরপর অধিনায়ক লিটনকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তানজিদ হাসান তামিম। এক পর্যায়ে ৩৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে দলকে জেতান তামিম। ৪০ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকে বাঁহাতি এই ওপেনার, আরেক প্রান্তে লিটন অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৮ রান নিয়ে। আগের ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৩৯ বল হাতে রেখে, আর এই ম্যাচ টাইগাররা জিতলো ৪১ বল হাতে রেখে।   

 

আরও পড়ুন: রোহিত-কোহলির যথাযথ বিদায় চান ভারতের এই তারকা

 

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ডাচম্যানরা। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান যোগ হতেই ম্যাক্স ও’দউদ-এর উইকেট হারায় সফরকারীরা। নাসুম আহমেদের বলে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১০ বলে ৮ রান করেন এই ওপেনার। পরের বলে তেজা নিদামানুরু দেন পারভেজ হোসেন ইমনকে ক্যাচ। রানের খাতা খোলার আগেই তিনি ফেরেন সাজঘরে। তবে ডাচ অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস কোনোমতে হ্যাটট্রিক ঠেকান। 

 

পাওয়ার প্লেতেই নেদারল্যান্ডসের ৩ উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা। নাসুমের জোড়া শিকার ও তাসকিনের এক উইকেট শিকারে ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তোলে ডাচরা। 

 

নতুন ব্যাটাররা থিতু হয়ে ওঠার আগেই আঘাত হানেন তাসকিন। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ক্রমে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বিক্রমজিৎকে ফেরান তিনি। ১৭ বলে ৪ চারে ২৪ রান করে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন বিক্রমজিৎ। সেই ওভারে আরও একটা উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। পরের বলেই ফের ক্যাচ উঠলেও এবার পিছলে পড়ায় তা ধরতে পারেননি সাকিব।

 

আরও পড়ুন: এসএ২০’র নিলামে সাকিব-মোস্তাফিজসহ ১৪ বাংলাদেশি

 

মোস্তাফিজুর রহমান এদিন বোলিংয়ে আসেন নবম ওভারে। আর এসেই পান উইকেটের দেখা। তৃতীয় বলে ফেরান ডাচ অধিনায়ককে। ১১ বলে ৯ রান করে ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪১তম উইকেটের দেখা পেলেন কাটার মাস্টার। 

 

দশম ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন ক্রোয়েস। সরাসরি থ্রোয়ে তাকে ফেরান সাইফ। এরপর শারিজ আহমেদকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ১৭ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার আউট হন লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। 

 

সিকান্দার জুলফিকারকে ফেরান মোস্তাফিজ। ৩ বলে ২ রান এই ব্যাটারকে সরাসরি বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পেসার। কাইল ক্লেইন ৭ বলে ৪ ও পল ফন মিকেরেন করেন ৭ বলে ৩ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই দলকে টেনেছেন ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা আরিয়ান দত্ত। শেষদিকে ২৪ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। 

 

বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ নেন ৩ টি, তাসকিন ও মোস্তাফিজুর নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া মেহেদি ও তানজিম সাকিব নেন ১টি করে উইকেট।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন