প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২০১ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। পুরো ইনিংসে প্রতিরোধ গড়ে উঠতে পারেনি। তানজিম হাসান সাকিবের লড়াকু ফিফটি ছাড়া বাকিদের ব্যাট ছিল নীরব। ৩০ বলে ৫০ রান করে কিছুটা ব্যবধান কমান তানজিম, তবে বাংলাদেশ থেমে যায় ১৪৪ রানে।
রান তাড়ায় ৪৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ধস নামে ইনিংসে। ৪৬, ৫৪, ৫৬, ৭০, ৭৭, ১১০ হয়ে সবশেষে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় ইনিংস।
তানজিদ হাসান ৩৩, ইমন ৮, লিটন ৬, হৃদয় ৫, মিরাজ ২৩ রান করেন। জাকের আলী শূন্য, শামিম ৭, রিশাদ ১ ও হাসান মাহমুদ করেন ৮ রান।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন আবরার আহমেদ। ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, সাদাব খান, খুশদিল শাহ ও সাইম আয়ুব পেয়েছেন একটি করে উইকেট। উইকেটশূন্য ছিলেন কেবল সালমান আগা।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে এই বছর সর্বোচ্চ ছক্কা সাহিবজাদার, সেরা চারে বাংলাদেশি
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান ৬ উইকেটে করে ২০১ রান। একাদশে ফখর জামানের পরিবর্তে জায়গা পাওয়া সাহিবজাদা ফারহান খেলেন ৪৭ বলের ঝড়ো ইনিংস, ১৮০ স্ট্রাইকরেটে করেন ৭৪ রান। তাতে ভর করেই বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
হাসান নাওয়াজ করেন ৫১, মোহাম্মদ হারিস ৪১ ও সালমান আগা ১৯ রান। ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন সাহিবজাদা ফারহান।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ২০১ রান করেছিল পাকিস্তান, সেদিন ১৬৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল পাকিস্তান।