এক দশকের মধ্যে এবার প্রচন্ড মৌসুমি বৃষ্টির কারণে মারাত্মক বন্যার মুখোমুখি । এই বন্যায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং নব্বই হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছেন।
সেখানকার ন্যশনাল ডিসাস্টার কমান্ড সেন্টারের অনলাইন পোর্টালে শুক্রবার জানানো হয় যে নয়টি রাজ্য জুড়ে ২৮,০০০ পরিবারের ৯৪,৭৭৮ জনকে ৫২৭টি অস্থায়ী আশ্রয় স্থলে স্থান্ততর করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মালায়েশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কেলাতান রাজ্যটি সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ৬৩,৭৬১ জনকে তাদের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে । তারপরই রয়েছে পাশের রাজ্য তেরেঙ্গানু যেখানে ২২,৫১১ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম শুক্রবার বলেন যে মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যের ছুটিতে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন তাদেরকে বন্যা কবলিত এলাকায় সাহায্য করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা সংগঠনের প্রধান উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি বৃহস্পতিবার বলেন যে অনুমান করা হচ্ছে এ বছরের বন্যা ২০১৪ সালের বন্যার চেয়েও খারাপ হবে। সে বছর ২,৫০,০০০ ‘এরও বেশি মানুষ বাস্তচ্যূত হন এবং ২১ জন প্রাণ হারান। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম তাঁকে উদ্ধৃত করে বলে যে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে আগামি মাসে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে আরও রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জাহিদকে উদ্ধৃত করে নিউ স্ট্রেইটস টাইমস সংবাদপত্রটি বলছে সরকারি সংস্থাগুলি এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন প্রায় ৮৩,০০০ লোক, হাজার হাজার জলযান, চার চাকার যানবাহন, লাইফ জ্যাকেট এবং ৩১টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সরকার গোটা দেশে ৮,৪৮১ টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্দিষ্ট করেছে যেখানে ২০ লক্ষেরও বেশি লোককে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে।
বর্ষার সময়ে মালায়েশিয়ার কিছু অংশে বন্যা একটি সাধারণ ব্যাপার। সেখানে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস অবধি বর্ষাকাল। আবহাওয়া দপ্তর বলছে দেশে এই সময়ে পাঁচ থেকে সাত দফা ভারী