প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে প্রাণের মায়া ত্যাগ করেই ত্রাণ সহায়তা নিতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় ফিলিস্তিনিরা।
শনিবারও (১২ জুলাই) রাফাহ’র উত্তরাংশে আল-শাকুশ সহায়তা কেন্দ্রে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। আহত হয়েছেন অনেকে।
ঘটনার পর নিহতদের স্বজনরা ভিড় করেন খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে। এসময়, চোখের সামনে সন্তানের লাশ দেখে কাঁদতে কাঁদতে ভেঙে পড়েন এক মা। বলেন,
শুধু এক টুকরো রুটি চেয়েছিল, না খেয়েই মরে গেল আমার বাচ্চা। আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে। মেয়েটা আইসিইউতে, বাকি পরিবারের সব সদস্য মৃত।
এরমধ্যেই আল-মাওয়াসিতে ড্রোন হামলা চালায় ইসরাইল। শরণার্থীদের তাঁবুগুলোর ওপর সরাসরি এ হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী। এতে শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পথে, বললেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় সহায়তা নিতে গিয়ে গত ছয় সপ্তাহে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৯৮ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। সহায়তার নাম করে গুলি চালানোর এই ধরনকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
এদিকে, পশ্চিম তীরে ইসরাইলি দখলদারদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মার্কিন নাগরিক সাইফুল্লাহ মুসল্লেত। ট্যাম্পা, ফ্লোরিডার এই ২০ বছর বয়সি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত হন আরও একজন ফিলিস্তিনি যুবক হুসেইন শালাবি। পরিবারের দাবি, তিন ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারলেও ততক্ষণে মারা যান সাইফ।
এ ঘটনার তদন্তের কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, মার্কিন প্রশাসন ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হলেও পরিবার ও নিহতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করছে না।
]]>