মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ক্ষীর গঙ্গা নদীর জলাধার এলাকায় ক্লাউডবাস্ট বা মেঘভাঙন দেখা যায়।
ক্লাউডবাস্ট বা মেঘভাঙনের ফলে একটানা প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং সাথে বজ্রপাত দেখা দেয়। পাশাপাশি বন্যা ও ভূমিধসও হতে পারে।
আরও পড়ুন:ভারতে বন্যায় একদিনে মৃত্যু ১৮
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, উত্তরকাশীর ধরলি গ্রামের দিকে পাহাড় থেকে তীব্র জলের স্রোত বয়ে আসছে এবং চারপাশের বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিওতে আতঙ্কিত মানুষের চিৎকারও ভেসে আসে।
এদিকে, উত্তরকাশী পুলিশ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ছবি পোস্ট করেছে এবং নদী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মানুষকে আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সকলেরই নদী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। নিশ্চিত করুন যে আপনি, শিশুরা এবং প্রাণীদের নদী থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছে।’
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক্সে বলেছেন, ত্রাণ দল উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ধামির সাথে কথা বলেছেন।
এক্সে তিনি আরও লেখেন, ‘ধারালি (উত্তরকাশি) অঞ্চলে মেঘ ভাঙনের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক। জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে। এই বিষয়ে, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমি সকলের নিরাপত্তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।’
আরও পড়ুন:ভারতে বন্যা-ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৪৭
উত্তরাখণ্ডে চলতি বছর ভারী, একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে, হরিদ্বারে গঙ্গাসহ প্রধান নদীগুলো এখনও উত্তাল। সোমবার, বৃষ্টিপাতজনিত দুর্ঘটনায় দু’জন মারা গেছেন এবং রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়া পাথর ও ধ্বংসাবশেষের নিচে দুটি দোকান চাপা পড়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
]]>