উটের খামার দিয়ে নজর কাড়ছেন বেনাপোলের নাসির

৫ দিন আগে
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গবাদি পশুর পাশাপাশি এবার মরুভূমির প্রাণী উট ও দুম্বা পালনে যুক্ত হয়েছেন খামারিরা। সীমান্ত এলাকার আলোচিত খামারি নাসিরের খামারে এখন রয়েছে গরু, ছাগল, দুম্বা। এবং সর্বশেষ সংযোজন- সাতটি বিশাল আকৃতির উট। যা স্থানীয়ভাবে কোরবানির বাজারে বাড়তি আগ্রহ ও চাহিদা তৈরি করেছে।

সীমান্ত এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বেনাপোলের পুটখালি এলাকায় নাসিরের খামার এখন সীমান্ত অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গবাদি পশুর খামার হিসেবে পরিচিত। যেখানে বিগত বছরগুলোতে কেবল গরু, ছাগল, দুম্বা ও ভেড়া থাকলেও, এবার ঈদকে ঘিরে যুক্ত হয়েছে মরুভূমি অঞ্চলের উট। খামারে উটের পাশাপাশি রয়েছে সহস্রাধিক গরু ও ছাগল। ৩ বিঘা জমি দিয়ে যাত্রা শুরু করা এ খামার এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ বিঘায়।


খামারের ব্যবস্থাপক আলামিন জানান, কোরবানিতে মানুষের আগ্রহের কারণে এবার গরুর পাশাপাশি উট ও দুম্বা রাখা হয়েছে। তবে উটগুলো ভারত থেকে এসেছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য তার কাছে নেই।


গরুর দাম যেখানে ২ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে রয়েছে, সেখানে উটের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ছোট উটের দামও ২৫ লাখ টাকার ঘরে। তবে অধিক দাম হওয়ায় অনেক ক্রেতাই কেবল উট দেখতে এসেই ফিরে যাচ্ছেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছেও এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই যে, উটগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।


শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা বলেন, এ বছর শার্শা উপজেলায় কোরবানির জন্য ১৪ হাজার ২৬৬টি গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। নাসিরের খামারের উটগুলো আমি দেখে এসেছি, তবে সেগুলোর উৎস সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।


আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকে ট্রাকে আসছে গরু, হাট প্রায় ক্রেতাশূন্য


উল্লেখ্য, এক সময় আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন খামারি নাসির। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তবে সীমান্তে কড়াকড়ি আর চোরাচালান কমে আসায় এখন তিনি নিজেই ভারত সীমান্তের শূন্য রেখার পাশে গড়ে তুলেছেন এই বিশাল পশু খামার।


এদিকে সীমান্তে গরু পাচার কমে আসায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনাও কমেছে বলে জানান বেনাপোল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার। তিনি বলেন, গরু পাচার বন্ধ হওয়ায় এখন সীমান্তে স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে।


স্থানীয় গয়ড়া গ্রামের খামারি শাহ আলম বলেন, বিদেশে না গিয়েও আমি গরুর খামার করে আজ স্বাবলম্বী। এখন অনেকেই গবাদি পশু পালন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন