সোমবার (৯ জুন) বিকেল থেকে লেকের পাড়ে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।
ঈদ উপলক্ষে শকুনী লেক হয়ে ওঠে জেলার প্রধান বিনোদনকেন্দ্র। দর্শনার্থীরা লেকের চারদিকে হাঁটাহাঁটি, ছবি তোলা এবং মনোরম পরিবেশ উপভোগে মগ্ন ছিলেন। অনেকেই প্যাডেল বোটে লেকে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ গ্রহণ করেছেন, যা বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে।
শুধু মাদারীপুর নয়, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ আশপাশের জেলার ভ্রমণপিপাসু ও বিনোদনপ্রেমীরাও ভিড় করেছেন এই লেকে।
২০১৬ সালে সাড়ে ২২ কোটি টাকা খরচ করে লেকের উন্নয়ন কাজ করা হয়। এর আওতায় লেকের চারপাশে ওয়াকওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, আধুনিক মানের রেস্টুরেন্ট, শিশুপার্ক, মুক্তমঞ্চসহ বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি করা হয়। লেকের চারপাশে ১৫টির বেশি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও অস্থায়ী দোকান বসেছে। শিশুদের খেলনা, শৌখিন সামগ্রীসহ নানা ঈদপণ্য নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বাচ্চাদের জন্য রাইড, খেলনা ও মজাদার খাবারও ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বড়ইতলা এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থী বুলবুল হোসেন বলেন, ‘পরিবার নিয়ে শকুনী লেকে এসেছি। হাজার হাজার মানুষ এসেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। ঈদের আনন্দ এখানেই যেন দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে।’
বরিশালের গৌরনদী থেকে আসা কুসুম আক্তার বলেন, ‘বিয়ের পর প্রথম ঈদ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে এখানে এসে দারুণ লাগছে। এত সুন্দর লেক, পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
আরও পড়ুন: পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙ্গামাটি
শকুনী লেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। লেক চত্বরে নিয়মিত টহল ও নজরদারির পাশাপাশি, শিশু পার্ক ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, ‘শকুনী লেক জেলার সবচেয়ে বড় বিনোদনকেন্দ্র। ঈদের এই সময়ে দর্শনার্থীরা যাতে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন, সেজন্য আমরা কঠোর নজরদারি চালাচ্ছি।’
শুধু শকুনী লেক নয়, পাশের পৌর শিশু পার্কেও ঈদের আনন্দে ভাসছে শিশুরা। নানা রাইডে উঠে হেসে খেলে কাটাচ্ছে তারা সময়।
পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী স্মরণ চন্দ্র মালো বলেন, ‘হাজার হাজার দর্শনার্থী আসছেন ঈদ উপলক্ষে। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে।’
মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, ‘ঈদে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে আলাদাভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। শিশু পার্কেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’