এসএমপির মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, ঈদের দিন রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে এক গার্মেন্টস কর্মী সিলেট কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। নিজ বাড়িতে ফেরার বাস না পেয়ে হোটেল খুঁজছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় রিফাত (ওরফে মুরাদ) (২৫) নামের এক যুবকের ।
আরও পড়ুন: ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে ঘুরতে গিয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
তিনি ভিকটিমকে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে কদমতলীর যমুনা মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। এই হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয় ভিকটিমকে। রাত ৩টার দিকে হোটেল ম্যানেজার লুৎফর রহমান (৪৫) কক্ষে এসে জোরপূর্বক দরজা খুলে তিনিসহ খিজির আহমদ (৩৫), রিফাত (ওরফে মুরাদ) (২৫) ও তানভীর (৩০) মোট ৪ জন মিলে ভিকটিমকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল ১০টার দিকে হোটেল ম্যানেজার লুৎফর রহমান তাকে হোটেল থেকে বের করে দেন। পরে এক বাস স্টাফ ভিকটিমকে কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে গেলে র্যাব দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ভিকটিমকে হেফাজতে নিয়ে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সাঁতার শিখাতে গিয়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৯(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । (মামলা নং-০২, তারিখ- ০৯/০৬/২০২৫)। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
]]>