দর্শনার্থীরা বলছেন, বছরের অন্যান্য সময় ফুসরত না মেলায় ঈদের ছুটিকেই পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছেন তারা।
ছোট্ট শিশু নাহিদা। ঈদে এই ছোট্ট সোনামণির স্কুল ছুটি থাকায়, রাজধানীর লালবাগ থেকে মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে এসেছে রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের কোনাখোলায় অবস্থিত আনোয়ার সিটি ম্যাজিক আইল্যান্ড।
নাহিদা বলে, ‘এখানে এসে আমার খুব ভালো লেগেছে।’
নাহিদার মা বলে, ‘রাইড আছে, সুইমিংপুল আছে। জায়গাটা খুব সুন্দর।’
আনোয়ার সিটি ম্যাজিক আইল্যান্ড, নগরবাসীর অন্যতম পছন্দের একটি বিনোদন কেন্দ্র। ঈদের আনন্দ শেষটুকু নিংড়ে নিতে এখানে তাই পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জের বিনোদনকেন্দ্রে অপরাধী চক্র, ঘটছে ধর্ষণ-ছিনতাই
এখানকার মূল আকর্ষণ বিভিন্ন ডায়নসর, হনুমানসহ গাছমানব। ইলেকট্রিক এই পশুগুলো শব্দের সঙ্গে নড়াচড়া করতে পারে। যা দেখে শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ পাচ্ছেন বড়রাও।
ঘুরতে আসাে এক শিশু বলে, ‘এই জায়গায় দেখার অনেক কিছু আছে। ছোটদেরও যেমনি ভালো লাগবে, তেমনি বড়দেরও ভালো লাগবে।’
এক অভিভাবক বলেন, ‘ছুটিতে ঘোরাঘুরি করতে এসেছি। একটু রিফ্রেসমেন্টের জন্যই এখানে আসা।’
বিনোদন কেন্দ্রের অন্যতম একটি পছন্দের রাইড ওয়াটার পার্ক। পানির সংস্পর্শে ডিজে গানের তালে নাচে মাতোয়ারা সবাই।
সময়ের অভাবে সম্ভব হয় না ঘোরাঘুরি করার। আর তাই নগরের ব্যস্ত জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে ছুটি পেলে বেরিয়ে পড়েন মানুষ। আর সেই ছুটি যদি হয় ঈদের, তাহলে আনন্দ বেড়ে হয় কয়েকগুণ।
এদিকে, সকাল থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছোট সোনামনিদের সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বাবা-মা। চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, হাতি দেখে শিশুদের আনন্দের যেন শেষ নেই।
আরও পড়ুন: ঈদের চতুর্থ দিনেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়
এক অভিভাবক বলেন, ‘দেশের জাতীয় পশুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই সন্তানদের এখানে নিয়ে এসেছি।’
অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও প্রিয়জনের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড়ে মাতেন সব বয়সী মানুষ।
কক্সবাজারেও পর্যটকরা মেতেছেন বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উল্লাসে। তিল ধারণের ঠাঁই নেই সাগরতীরে। তীব্র গরমে প্রশান্তি খুঁজে পাচ্ছেন নোনাজলে।
যানজট মুক্ত নগরীতে স্বস্তিতে একদন্ড ঘুরতে পেরে খুশি নগরবাসী।