ঈদের নামাজ শেষে প্ল্যাকার্ড হাতে সুমনা হত্যার বিচার চাইলেন রাশেদ

৩ সপ্তাহ আগে
ঈদের নামাজ শেষে প্ল্যাকার্ড হাতে সুমানা‌ হত্যার বিচার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান। এসময় তার কোলে ছিল সুমনার ১১মাস বয়সী মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া।

শনিবার (৭ জুন) যশোর সদরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ শেষে তিনি এই প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ান।

 

রাশেদ খান বলেন, আমার কোলে যে শিশুটি, ও সুমনার মেয়ে, ১১ মাস বয়স। যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড় গোপালপুর গ্রামে হৃদয় হাসানের সাথে সুমনার বিয়ে হয়েছিল ৷ বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুড়বাড়ির লোকজন ক্রমাগত যৌতুকের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে ৷ প্রতিনিয়ত মারধর আর মানসিক নির্যাতনে দিশেহারা অবস্থা হয় সুমনার। গত ২৯ মে সুমনাকে খুব বাজেভাবে মারধর করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী৷

 

পরদিন সুমনার বাবা-মা যৌতুকের টাকা ছাড়াই তাকে আবার শ্বশুড়বাড়ি ফেরত পাঠায়। ৩০ মে, বিকেলে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনার লাশ উদ্ধার করা হয়। আমরা এটাকে হত্যাকাণ্ড মনে করি।

 

আরও পড়ুন: যশোরে ১৩ পরিবারে অগ্নিসংযোগ: পরিদর্শনে ঢাকার প্রতিনিধি দল

 

তিনি আরো বলেন, সুমনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে শহরের প্রভাবশালী মহলের দ্বারস্ত হয়েছেন ৷ যা ন্যায় বিচারকে প্রভাবিত করছে ৷ অবাক করার বিষয় হলো, প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি!


আজ ঈদের দিন, খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঈদের আনন্দ সুমনার পরিবারকে ছুঁতে পারেনি। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে সদ্য মা হারানো এই ছোট্ট বাচ্চাটার মুখেও। তাই এর সাথে জড়িত আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

আরও পড়ুন: যশোরের প্রধান ডাকঘর থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার

 

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, সুমনার ভাই সুমন হোসেন আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে হৃদয় হাসান, তার বাবা হারেজ আলী, মা শম্পা বেগম ও চাচা টুকু আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন