ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ না করতে পারলেও নদী ও উপকূলের দৃশ্য দেখতে হাজারো দর্শনার্থী ছুটে এসেছেন মোংলায়। ফলে শিশু পার্ক ও মেরিন ড্রাইভ সড়ক এলাকায় বেড়েছে দর্শনার্থীদের পদচারণা।
চলতি ঈদুল আজহার ছুটি টানা ১০ দিনের হওয়ায় দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক ঘুরতে আসছেন। কিন্তু বন বিভাগ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় তারা বিকল্প বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে মোংলার মেরিন ড্রাইভকে বেছে নিচ্ছেন।
পশুর চ্যানেল ও বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক ক্যানেলের পাশে নির্মিত এ মেরিন ড্রাইভ থেকে দর্শনার্থীরা দূর থেকে সুন্দরবন, নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ কার্গো ও কোস্টার জাহাজ, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন।
আরও পড়ুন: মোংলা পৌরসভার বর্জ্যে সুন্দরবন ও নদীর পরিবেশ দূষিত
পর্যটক সিফাতুল ইসলাম ও শিল্পি আক্তার দম্পতি বলেন, ‘সুন্দরবনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে মোংলার নদীপাড়ে এসেছি। নদী, বাতাস, আকাশ আর জাহাজ মিলিয়ে এখানে খুব শান্তি লাগে। শিশু পার্কেও ছেলেমেয়েরা অনেক আনন্দ পাচ্ছে।’
মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভের দুই পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের কারণে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে। এখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণের প্রতিকৃতি, নানা ধরনের গাছপালা, কাশবন, ল্যাম্পপোস্ট, নদী ও সবুজ প্রকৃতি মিলিয়ে পরিবেশ মনোমুগ্ধকর।’
ঈদের ছুটিতে শিশু পার্ক ও মেরিন ড্রাইভ এলাকায় বসেছে বিভিন্ন খাবারের দোকান ও খেলনা সামগ্রীর বাজারও। দর্শনার্থীদের পদচারণায় এলাকাটি হয়ে উঠেছে মোংলার প্রধান বিনোদনকেন্দ্র।
]]>