শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহার প্রথম দিন সকালে পর্যটকের আগমন কম হলেও বিকেল না হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে। পর্যটকের সঙ্গে দেখে মিলেছে স্থানীয় দর্শনার্থীদেরও। সাগরতীর পরিণত হয় মানুষের মিলনমেলায়।
এদিকে সূর্য ডুবছে অন্যদিকে দলে দলে পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে সাগরতীরে নামছে পর্যটকরা। কেউ সমুদ্রস্নান করছে, কেউ বালিয়াড়িতে ছবি তুলছে, কেউবা চড়ছে ঘোড়া পিঠে কিংবা বিচ-বাইকে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ উপভোগ করছে সূর্যাস্ত। ডুবন্ত সূর্যের সঙ্গে সাগরকে পেছনে রেখে তুলছেন ছবিও।
আগত পর্যটকরা বলছেন, ঈদের ছুটি উপভোগে সাগরপাড়ে ছুটে আসা।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটি উদযাপনে এবার কক্সবাজার ছুটে এসেছি। এখানে সাগরের সামনে পরিবার নিয়ে আনন্দ করছি।’
আরেক পর্যটক ইব্রাহীম বলেন, ‘ঈদের দিন সৈকতে পর্যটক কম হবে মনে করেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি বিকেলে পর্যটকের চাপ বেড়েছে। তবে সাগরপাড়ে মানুষ বেশি থাকলে আনন্দও বেশি করা যায়।’
আরও পড়ুন: পর্যটক বরণের অপেক্ষায় হ্রদ-পাহাড়ের নগরী রাঙ্গামাটি
এদিকে পর্যটকের আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভ্রমণকে আনন্দমুখর করতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে পুলিশ অবস্থান করছে। একদিকে মোবাইল টিম অন্যদিকে সাদা পোশাকে পুলিশ সমুদ্র সৈকতে ঘুরছেন।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে একাধিক মোবাইল টিম পর্যটকদের সব ধরনের হয়রানি রোধে মাঠে কাজ করছে।’
আর হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী সোমবার থেকে প্রতিদিনই কক্সবাজার সৈকতে ভিড় করবে লাখো পর্যটক। যার কারণে হোটেলের বুকিং হয়েছে আশানুরূপ।