বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১ জুন থেকে দেশের বাজারে নতুন ছাপা নোট ছাড়লেও, এখনো তা খুলনায় পৌঁছায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ জুন) বিকেল ৫টা পর্যন্ত নতুন কোনো নোট তারা হাতে পাননি। ফলে সরকারি-বেসরকারি কোনো তফসিলি ব্যাংকও গ্রাহকদের হাতে নতুন নোট তুলে দিতে পারেনি।
গত বছর রোজার ঈদেও নতুন নোট ছাপা না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল দেশের মানুষের। এবার ঈদের আগে নতুন মুদ্রণ হলেও খুলনাবাসীর জন্য তা রয়ে গেছে অধরাই। গ্রাহকদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নতুন নোট কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও।
অগ্রণী ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মশিউল ইসলাম বলেন, নতুন টাকার জন্য চাহিদা দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনো কোনো সরবরাহ পাইনি। গ্রাহকদের সামনে আমরা অসহায়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৬টি নতুন নোটের ছবি হস্তান্তর
নগরীর ব্যাংকপাড়ায় নতুন নোটের খোঁজে ঘুরেছেন অনেকে। কিন্তু কোথাও মেলেনি আশানুরূপ ফল। অনেকেই নোট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, পরপর দুই ঈদে নতুন নোট না পেয়ে ঈদের আনন্দে ভাটা পড়েছে।
নতুন নোট না আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ব্যাংকিং) মনজুর রহমান জানান, আমাদের কাছে এখনো কোনো নতুন মুদ্রণ পৌঁছেনি। ফলে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে তা সরবরাহ সম্ভব হয়নি।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মুদ্রা নকশা ঘিরে জটিলতার কারণে গত বছর আগস্টের পর দেশের মুদ্রা ছাপানো বন্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত নোটগুলোর বিষয়ে নানামুখী সিদ্ধান্তের কারণে পুরনো নোটেই বাজার চালু রাখা হয়। এরপর থেকেই ভাঙাচোরা ও ময়লা টাকায় সয়লাব হয়ে পড়ে দেশের নগদ বাজার ব্যবস্থা।
চাহিদা বাড়লেও যোগানের সংকটে নতুন নোট যেন খুলনার জন্য এবারও রয়ে গেল প্রতীক্ষার গল্প হয়ে।