জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো— শ্রীমঙ্গলের একাত্তরের বধ্যভূমি, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, ভাড়াউড়া চা বাগান, রাবার বাগান, বিটিআরআই ও আশপাশের এলাকা— ঈদের দিন থেকে শুরু করে টানা ছয় দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল।
সবুজ পাহাড়, চা বাগান আর প্রকৃতির নির্জনতায় মুগ্ধ হয়ে অনেকে পরিবারের সঙ্গে ছবি তুলেছেন, কেউবা সেলফি তুলে কিংবা গান-বাজনায় মেতে উঠেছেন। পর্যটকদের এমন বাঁধভাঙা স্রোতে জেলার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। পাশাপাশি খাবার হোটেল, পরিবহন সেক্টর ও স্থানীয় বাজারে বেড়েছে বেচাকেনা।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাবেক সভাপতি সেলিম আহমদ বলেন, ‘এ ঈদে অভাবনীয় পর্যটক এসেছে, এতে আমাদের ব্যবসাও ভালো হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মৌলভীবাজারের পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াবে।’
আরও পড়ুন: দীর্ঘ খরতাপের পর মৌলভীবাজারে স্বস্তির বৃষ্টি
রাধানগর পর্যটন কল্যাণ পরিষদের সদস্যসচিব তারেকুর রহমান পাপ্পু বলেন, ‘পর্যটন ব্যবসা বাড়লেও মৌলভীবাজারে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নমূলক কোনো কার্যক্রম নেই। দ্রুত আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘এবার প্রচুর পর্যটক আসায় ব্যবসা-বাণিজ্যে সাফল্য এসেছে।’
পর্যটন সেবা সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মৌলভীবাজারে বর্তমানে দেড় শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে এত বড় পর্যটন ভিড় ও ব্যবসা হয়নি।
]]>