ঈদ ছুটির প্রথম দিনেই ভোলাগামী ঘাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

২ সপ্তাহ আগে
ঈদুল আজহার ছুটির প্রথম দিনেই কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে দ্বীপজেলা ভোলার মানুষ। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করছে লঞ্চ ও সি-ট্রাকগুলো। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপও বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর থেকেই ভোলার বিভিন্ন ঘাটে দেখা গেছে নৌযানে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।

 

সরেজমিন ইলিশা লঞ্চঘাটে দেখা গেছে, লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে একের পর এক সি-ট্রাক এসে ভিড়ছে। প্রতিটি সি-ট্রাকে ধারণক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলের যাত্রীরা মূলত এই রুটে যাতায়াত করেন।

 

এছাড়া বুধবার রাতের ঢাকাগামী ১০টি লঞ্চ বৃহস্পতিবার সকালে ইলিশা ও জেলার বিভিন্ন ঘাটে যাত্রী নামিয়ে আবার ঢাকায় ফিরে যায়। ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চগুলোতেও ছিল ব্যাপক ভিড়।

 

আরও পড়ুন: ভোলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২ ডাকাত আটক

 

তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলারে করে উত্তাল মেঘনায় যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে। ভোলা-লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান-আলেকজান্ডার, তজুমদ্দিন-মনপুরা, বেতুয়া-মনপুরা, রামনেওয়াজ-চেয়ারম্যান ঘাটসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ১৫টি রুটে নিষিদ্ধ ট্রলার ও স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন চলছে।

 

সূত্র জানায়, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনার ইলিশা থেকে সাগর মোহনা পর্যন্ত ১১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘ডেঞ্জার জোন’ ঘোষণা করে সি-সার্ভে ছাড়া নৌযানে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবুও বিআইডব্লিউটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকির অভাবে ট্রলার মালিকরা অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করছে।

 

চট্টগ্রাম থেকে আসা যাত্রী মইনুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ ট্রলারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে এই পরিবহন।’ আরেক যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, ‘সি-ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করলে বিকাল হয়ে যেত। তাই বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে এসেছি।’ একই অভিযোগ করেন যাত্রী ইউসুফ ও খোরশেদ আলম।

 

এদিকে ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন