সোমবার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে আইডিএফ-এর বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৩০ মিনিট আগে ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেগুলো ভূপাতিত করার চেষ্টা করা হয়েছে; তবে সফল হয়েছিল কিনা তা এখনও তদন্ত চলছে।
ইসরাইলের জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, কেউ আহত হওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই।
ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর জেরুজালেমের দক্ষিণে বেশ কয়েকটি বসতিতে সাইরেন বেজে ওঠে। এসব এলাকার মধ্যে ছিল এটজিওন ব্লক ও হেবরন।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের বিমানবন্দরে ইয়েমেনের হাইপারসনিক মিসাইল হামলা!
এর আগে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।
হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানিয়েছে, ইসরাইল হোদেইদায় একের পর এক হামলা চালিয়েছে। এর ঠিক আগে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের তিনটি বন্দর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছিল।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় রোববার ইসরাইলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন সামরিক অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের সাথে সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে খামেনি
প্রতিবেদন মতে, রোববার (৬ জুলাই) ইয়াহিয়া সারি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, তেল আবিবের কাছে অবস্থিত ইসরাইলের ব্যস্ততম বিমানবন্দর বেন গুরিওনে দিনের শুরুতে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর এই মুখপাত্রের মতে, ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান ‘সম্পূর্ণরূপে সফল’ হয়েছে এবং এর ফলে ওই বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে ইয়েমেন কয়েক দফায় বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।