ইসি নিয়োগের প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভুক্তের পক্ষে বিএনপি

৩ সপ্তাহ আগে
সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটির প্রস্তাবে বিএনপি শুরু থেকে আপত্তি জানালেও অবশেষে শুধু নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে দলটি। শুরুতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের পক্ষে মত দিলেও এবার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৮তম দিনের বৈঠকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেয় বিএনপি। 


সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান- নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন কিংবা ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান কেমন হবে, তা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের ওপর এই সংলাপে বসে রাজনৈতিক দলগুলো। এসব পদের নিয়োগের বিধান জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ বেশ কিছু বাম দল সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেয়।


চারটি কমিশনের বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি না হলে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগের প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভূক্তের পক্ষে মত দেয় বিএনপি। এক্ষেত্রে ৭ জনের জায়গায় ৫ জনের সিলেকশন কমিটি গঠনের সুপারিশ করে দলটি। এতে সংসদ নেতা, স্পিকার, প্রধান বিরোধী দল, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির একজন প্রতিনিধির প্রস্তাব রাখা হয়। যা অন্যরাও সমর্থন করেন। পরে ব্রিফ করেন কমিশনের সহ সভাপতি আলী রিয়াজ।


আরও পড়ুন: যে ১০ দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা


নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারায় উচ্ছ্বসিত ছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হলে নির্বাহী বিভাগের পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। 


এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, অন্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের প্রক্রিয়াও সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন।


এর আগে, বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে মাইলস্টোন ইস্যুতে সরকারের আচরণের প্রতিবাদে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদের প্রতীকী ওয়াকআউটের মধ্যদিয়ে শুরু হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা। তাদের অভিযোগ, মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি।


সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে সরকার ফ্যাসিস্ট আমলের মতো আচরণ করেছে। পরে অবশ্য সভায় যোগ দেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন