ইসলামে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো নিষেধ

১৭ ঘন্টা আগে
আল্লাহ তাআলা সুরা হুজরাতে বলেছেন, তোমরা অপরের গোপন বিষয় অনুসন্ধান কোরো না। (সুরা হুজরাত ১২)। তিনি আরও বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ আর স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহযাব ৫৮)

আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও অন্যের দোষ খোঁজার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-র বরাতে একটি হাদিসের বর্ণনা আছে। তিনি জানিয়েছেন যে রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন,

 

‘তোমরা মন্দ ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাক। কারণ, মন্দ ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। অন্যের গোপন দোষ খুঁজে বেড়িও না, অন্যের গোয়েন্দাগিরি করো না, একে অন্যের সঙ্গে (অসৎ কাজে) প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোরো না, পরস্পরকে হিংসা কোরো না, অন্যের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ কোরো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও—যেমনটা তিনি তোমাদের আদেশ দিয়েছেন।’

 

আরও পড়ুন: বুযুর্গদের কবর কি পাকা করা যাবে?

 

‘এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। একজন আরেকজনকে অত্যাচার কোরো না, অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিও না এবং তাকে তুচ্ছ ভেবো না। এখানে আল্লাহভীতি রয়েছে (তিনি নিজের বুকের দিকে ইঙ্গিত করলেন।) কোনো মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ ভাবা আরেকজন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভ্রম আর সম্পদ আরেক মুসলমানের ওপর হারাম। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের দেহ আর আকার-আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।’

 

আরেক বর্ণনায় আছে, ‘তোমরা পরস্পরকে হিংসা কোরো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, অন্যের গোয়েন্দাগিরি কোরো না, অন্যের গোপন দোষ খুঁজে বেড়িও না, পরস্পরের পণ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়ো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও।’ (বুখারি ৫১৪৩)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন