ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো একীভূতকরণে এনবিএলকে সম্পৃক্ত করা হবে না: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

৩ দিন আগে
ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে (এনবিএল) যুক্ত করার কোনো সু্যোগ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শুক্রবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।


তিনি বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ৬টি দূর্বল ব্যাংক একীভূত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে। ৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টি ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


এ সংবাদটি সঠিক নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এনবিএল প্রচলিত ধারার ব্যাংক। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো সংস্কারের সঙ্গে এনবিএল সম্পৃক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

 

আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ব্যাংকের নামে কেন ‘পিএলসি’ যুক্ত হলো?


এর আগে একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেয়া গভর্নরের সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে ব্যাংক একীভূতকরণের সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এসব সংবাদে জানানো হয়, নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো একীভূত করে সাময়িক সময়ের জন্য সরকারি মালিকানায় নেয়া হবে। ব্যাংকগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।


তবে গত ২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে বিএফআইইউর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গভর্নর জানান, একীভূতকরণের আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ওপর সরকার মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ তারা একটি অধিকতর শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।


মোট কতটি ব্যাংক একীভূতকরণের আওতায় আসবে, এমন প্রশ্নে গভর্নর বলেন, ‘প্রথমে আমরা কয়েকটি ব্যাংক দিয়ে শুরু করব। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি, তারপর আরও কয়েকটি– এভাবে হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন