ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির ফলে গাজায় ফিরছে ফিলিস্তিনিরা

৩ দিন আগে
সোমবার সকাল থেকে গাজা সিটিতে ফিলিস্তিনিরা ফিরতে শুরু করেছে কেননা ইসরায়েলি বাহিনী তল্লাশী চৌকিগুলি খুলে দিয়েছে ও গাজার উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলিতে মানুষকে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের শুরুর দিন থেকে এই এলাকাগুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ, বেশিরভাগই পায়ে হেঁটে গাজা সিটির রাস্তায় নেমে পড়েছে। ইসরায়েলি স্থল অভিযান ও বিমান হামলা চলাকালে এই সিটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে; ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল ওই হামলার লক্ষ্য।   ইসরায়েল যে সকল এলাকা খালি করতে নির্দেশ দিয়েছিল সেগুলির অন্যতম হল গাজা সিটি। যুদ্ধের আবহে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি শুরু করেছিল। সেখানকার মানুষদের অনেকেই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আশ্রয়ের জন্য তাঁবু-শিবির বেছে নিয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আবহে গাজা সিটিতে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা। এই চুক্তিতে রয়েছে গাজায় আটক কয়েকজন জিম্মির মুক্তি, ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও গাজায় মানবিক ত্রাণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। ইসরায়েলি এক জিম্মিকে মুক্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় শেষ মুহূর্তে জটিলতা ও বিতর্ক তৈরি হয়, তবে সোমবার সকালে কাতার এক সমঝোতার কথা ঘোষণা করে যার অধীনে আরবেল ইয়েহুদ ও অন্য দুই জিম্মিকে শুক্রবারের আগে মুক্তি দেবে হামাস। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর এই সমঝোতার বিষয়কে নিশ্চিত করে বলেছে, বাড়তি তিনজন জিম্মিকে শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে এবং সকল জিম্মির অবস্থা সম্পর্কে তালিকা দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে এই জিম্মিদেরও মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। রবিবার গাজার মধ্যাঞ্চলে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে কেননা এক তল্লাশী চৌকির নিকটবর্তী উপকূলীয় সড়ক বরাবর ফিলিস্তিনিদের উপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী; এই ঘটনায় অন্তত একজন নিহত ও আরও ১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালের এক মুখপাত্র। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা “কয়েক ডজন সন্দেহভাজনকে একাধিক সমাবেশ করতে দেখেছে যা ঝুঁকি তৈরি করেছিল।” যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে আরও উত্তরে পিছু হটতে হবে এবং লেবানন থেকে ইসরায়েলকে সরে আসতে হবে। লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউনিফিল নামে পরিচিত) এক বিবৃতিতে সতর্ক করেছে, “পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে এটা অপরিহার্য।” বেসামরিক নাগরিকদের উপর গুলি করা এড়াতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে অনুরোধ করেছে তারা এবং লেবাননের জনগণকে সে দেশের সামরিক বাহিনীর নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে। এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আরও সহিংসতা ভঙ্গুর নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।” যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
সম্পূর্ণ পড়ুন