সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জাহাজে থাকা ব্রাজিলিয়ান অধিকারকর্মী থিয়াগো আভিলা বলেন, জাহাজটি বর্তমানে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার (১০০ নটিক্যাল মাইল) দূরে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গাজাবাসী সমর্থন জানাতে এবং বোমাবর্ষণ ও দুর্ভিক্ষ বন্ধের দাবি জানাতে এখানে এসেছি। ইসরাইলের হুমকি সত্ত্বেও, আমরা আমাদের যাত্রা চালিয়ে যাব। বিশ্বকে আমাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
আভিলা আরও বলেন, ইসরাইলের ড্রোনগুলো আমাদের ওপর দিয়ে উড়ছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা জ্যাম হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: গ্রেটা থুনবার্গদের নৌকায় হামলার হুমকি ইসরাইলের
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ইসরাইলি বাহিনী অস্ত্র নিয়ে আমাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, কিন্তু আমরা ভীত নই। আমরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি তা গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের তুলনায় কিছুই নয়।’
এর আগে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, গাজা উপকূলে জাহাজটিকে ভিড়তে দেয়া হবে না। আমি সেনাদের ম্যাডলিন ফ্লোটিলাকে গাজায় পৌঁছতে না দিতে নির্দেশ দিয়েছি। ইহুদিবিদ্বেষী গ্রেটা থুনবার্গ ও তার সহযোগীদের, যারা হামাসের মুখপাত্র, তাদের স্পষ্ট করে বলছি : ফিরে যান কারণ আপনারা গাজায় পৌঁছাবেন না।’
সুইডেনের পরিবেশবিষয়ক আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী ওই জাহাজে আছেন।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করে হত্যা!
গাজার প্রথম ও একমাত্র নারী মৎস্যশিকারির নামানুসারে ‘ম্যাডলিন’ জাহাজটির নামকরণ করা হয়েছে। ফ্রি ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গাজার মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে যেসব সহায়তা দরকার, সেগুলো বহন করছে জাহাজটি।
এর মধ্যে আছে চিকিৎসার সরঞ্জাম, ময়দা, চাল, শিশুদের দুধ (বেবি ফর্মুলা), ডায়াপার, নারীদের স্যানিটারি পণ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট, ক্রাচ ও শিশুদের কৃত্রিম অঙ্গ।
‘ম্যাডলিন’ জাহাজে মোট ১২ জন মানবাধিকারকর্মী আছেন। তারা হলেন সুইডেনের পরিবেশবিষয়ক আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, জার্মানির ইয়াসেমিন আচার, ফ্রান্সের ব্যাপতিস্ত আন্দ্রে, ব্রাজিলের থিয়াগো আভিলা, ফ্রান্সের ওমর ফায়াদ, পাস্কাল মৌরিয়েরাস, ইয়ানিস মোহামদি, তুরস্কের সুলাইব ওর্দু, স্পেনের সার্জিও তোরিবিও, নেদারল্যান্ডসের মার্কো ফন রেনেস ও ফ্রান্সের রিভা ভিয়া।