গত শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইসরাইল ও ইরান একে অপরের ওপর হামলা পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে। থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সোমবার (১৬ জুন) চতুর্থ দিনের মতো ইরানজুড়ে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
হামলায় ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কেরমানশাহ শহরের ফারাবি হাসপাতাল, রাজধানী তেহরানের পশ্চিমাংশে একটি সামরিক ঘাঁটি এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার রাতে এক এক্স পোস্টে ইরানিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, উত্তরপশ্চিম তেহরানে ইসরাইলি বিমান হামলায় তাদের তিনি উদ্ধারকর্মী নিহত হয়েছেন। হামলাটি এমন সময় ঘটে, যখন তারা তাদের সবচেয়ে মৌলিক মানবিক দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং কোনো ধরনের সামরিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান
পোস্টে একটি পোড়া ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির ছবি শেয়ার করেছে ইরানিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। তারা জানিয়েছে, এটি রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্স যা ইসরাইলের আক্রমণের শিকার হয়েছে। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই ‘ঘটনাটি কেবল আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিরুদ্ধে অপরাধ নয় বরং মানবতা ও নৈতিকতার উপরও একটি স্পষ্ট আক্রমণ।’
মুহুর্মুহু বিমান হামলার জবাবে ইসরাইলের তেল আবিব ও হাইফা লক্ষ্য করে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি নতুন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তেল আবিব ও হাইফাকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে।
তুন হামলা সম্পর্কে সোমবার (১৬ জুন) রাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) মুখপাত্র জানান, অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩- এর নবম ধাপের হামলা কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে মিসাইল ও ড্রোন। যা মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেছেন,
আমরা ইহুদিবাদীদের শান্তিতে ও স্থিতিশীলতায় থাকতে দেব না।
আরও পড়ুন: খামেনিকে হত্যার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর!
এদিকে তেহরান তেল আবিব ও হাইফায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা বলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তেল আবিবে সাইরেন সতর্কতা সক্রিয় করা হয়েছে।
]]>