বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে এই বিবৃতি, কাতারের দোহার একটি আবাসিক এলাকায় হামলার কয়েক ঘন্টা পরে এসেছে। গাজায় যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কাতার একটি প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন:কাতারে ইসরাইলের হামলা: হামাসের শীর্ষ নেতাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে?
এদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী ট্রাম্প প্রশাসনকে অবহিত করে যে ইসরাইল হামাসের উপর আক্রমণ করছে, যা দুর্ভাগ্যবশত কাতারের রাজধানী দোহায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একতরফাভাবে বোমা হামলা চালানো হলো কাতারের ভেতরে, একটি সার্বভৌম দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। যারা শান্তির জন্য আমাদের সাথে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং সাহসিকতার সাথে ঝুঁকি নিচ্ছে। তবে, গাজাবাসীর দুর্দশা থেকে লাভবান হামাসকে নির্মূল করা তাদের একটি লক্ষ্য।’
তবে, কাতার এই যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি অস্বীকার করেছে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সরকারকে আগে থেকে হামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল, এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারী এক্স-এ এক বিবৃতিতে লিখেছেন, দোহায় ইসরাইলি হামলায় যখন বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছিল তখন একজন আমেরিকান কর্মকর্তার কাছ থেকে ফোনটি এসেছিল।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন তবে তাদের প্রধান আলোচক দল বেঁচে গেছেন। নিহতদের মধ্যে একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে নিন্দা জানিয়েছে।