বৃহস্পতিবার (২৯ মে) গাজার কেন্দ্রস্থলে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে একাধিক বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপত্যকাটির বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের আক্রমণে হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরমধ্যে কয়েকজন নিহত হয়েছেন গাজা সিটির সারায়া জংশনে বিমান হামলায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার ‘আল-আওদা’ হাসপাতাল আর কার্যকর নেই। ইসরাইলি বাহিনীর সরাসরি আদেশে হাসপাতাল খালি করা হয়েছে। এখনও সেখানে কয়েকজন রোগীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ অবস্থান করছেন। রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় যন্ত্রপাতি সরানোরও সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল /কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বসতি সম্প্রসারণের ঘোষণা ইসরাইলের
এদিকে, পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন অবৈধ বসতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। এটি এককভাবে বসতি অনুমোদনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত।
বিশ্লেষকরা জানান, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি জমি দখলে নেয়ার পদক্ষেপ এখন স্পষ্টতই রাষ্ট্রীয় নীতিতে রূপ নিয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইলের বসতি স্থাপন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি উদ্যোগকে ‘ভুল পথে’ নিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইসরাইলের বসতি কার্যক্রম বন্ধেরও আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
অন্যদিকে, ইসরাইলের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। গাজায় গণহত্যার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে ইসরাইল জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষিপ্ত ওলমার্ট /এটা যুদ্ধাপরাধ ছাড়া আর কী?
]]>