ইসরাইলের আগ্রাসন থামলেই অস্ত্র ছাড়বে হামাস

১ দিন আগে
গাজায় ইসরাইলি দখলদারিত্ব শেষ হলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করবে হামাস। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংগঠনটি

হামাসের আলোচক দলের প্রধান এবং সংগঠনটির গাজা প্রধান খলিল আল-হায়া বিবৃতিতে বলেন, ‘দখলদারি ও আগ্রাসনের কারণেই আমরা অস্ত্রশস্ত্র রাখছি। দখলদারির অবসান ঘটলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হবে।’

 

রাষ্ট্র বলতে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কথা বুঝিয়েছেন বলে আল-হায়ার দফতরর জানিয়েছে।

 

খলিল আল-হায়া আরও বলেন, ‘আমরা গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং সীমান্তে নজরদারির জন্য জাতিসংঘের বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। তবে শুধু হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হলে, তা মেনে নেয়া হবে না।’

 

এদিকে নানা অজুহাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় হামলা চালানো ইসরাইলের নিত্যদিনের ঘটনা। এতে প্রতিদিন হতাহত হচ্ছেন অনেকে। স্থানীয় সময় শনিবার ‘ইয়েলো লাইন’ অতিক্রমের অভিযোগে আবারও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি ছোঁড়ে নেতানিয়াহু সেনারা।

 

আরও পড়ুন: হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আগে গাজার শাসন ব্যবস্থা গঠন জরুরি: তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

পূর্বাঞ্চলে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। প্রাণ বাঁচাতে শহরের অন্য প্রান্তে আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বাসিন্দারা। একইদিন, পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালায় অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা।

 

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের দাবি, চুক্তির পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে না পারা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের জন্য বিশাল পরাজয় বলে গণ্য হবে। এসময়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা তিনি।

 

আরও পড়ুন: গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এখনও অর্জিত হয়নি: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

 

হাকান ফিদান বলেন, ফিলিস্তিনে একটি নির্ভরযোগ্য স্থানীয় প্রশাসন ও প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনী তৈরির মাধ্যমে হামাস নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। এমনকি, স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করতে গোষ্ঠীটি রাজি বলেও জানান তিনি।

 

এদিকে, রাফা সীমান্ত একপাক্ষিকভাবে খুলে ফিলিস্তিনিদের মিশরে স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন মুসলিম দেশের নেতারা। দোহায় এক সম্মেলন শেষে যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো জানায়, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি অনুযায়ী রাফা সীমান্ত দুই দিক থেকেই খুলে দেয়া উচিত। একইসঙ্গে, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডে থেকে তা পুনর্নির্মাণের বিষয়েও সহমত জানান তারা।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন