শনিবার (২৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে ক্ষোভ জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইসরাইলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা ভয়াবহ।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধনায়ক হিসেবে আখ্যা দেন তিনি বলেন, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) যুদ্ধের একজন নায়ক এবং তিনি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি ইরানের পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে দুর্দান্ত কাজ করেছেন।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করেন। বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীকে কীভাবে আদালত কক্ষে সারাদিন বসিয়ে রাখা হয়?
ইরান ও হামাসের সঙ্গে আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া—এমন মন্তব্যও করেন ট্রাম্প। এখন তিনি হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন জিম্মিদের মুক্ত করতে। তাহলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সারাদিন আদালতে বসে থাকবেন—একেবারে অমূলক মামলায়?
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে বাঁচিয়েছে, নেতানিয়াহুকেও বাঁচাবে, কেন বললেন ট্রাম্প?
এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র—যেমনটা আমি সহ্য করেছি। এই অনাচার ইরান ও হামাসের সঙ্গে চলমান আলোচনায় বিঘ্ন ঘটাবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, উন্মাদনা চলছে—নিয়ন্ত্রণহীন সরকারি কৌঁসুলিরা যা করছে, তা পাগলামির চেয়েও খারাপ। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ইসরাইলকে রক্ষায়। আমরা এটা সহ্য করব না। নেতানিয়াহুকে ছেড়ে দাও—ওর সামনে বিশাল কাজ পড়ে আছে!
এর আগে ইরান ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার একদিন পর বুধবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক দীর্ঘ পোস্টে নেতানিয়াহুর বিচারকে ‘উইচ হান্ট’ বলে মন্তব্য করে বলেন, আমি ভাবতেই পারি না যে মানুষটা তার দেশকে এতটা দিল, তার বিরুদ্ধে কীভাবে দুর্নীতির মামলা চলতে পারে’।
আরও পড়ুন: বিচার বাতিল চাওয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন নেতানিয়াহু
ওই পোস্টে নেতানিয়াহুকে ‘মহান দেশপ্রেমিক’ ও ‘নায়ক’ বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। বিচার থেকে অব্যহতির আহ্বান জানানোয় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান নেতানিয়াহু। তবে প্রতিবাদ জানান ইসরাইলের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরাইলের জন্য যা করেছেন, সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ; কিন্তু তার প্রতি আমাদের অনুরোধ— দয়া করে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় নাক গলাবেন না।’
]]>