ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান

বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় সাইরেন সতর্কতা সক্রিয় করা হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে কাজ করছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সাধারণ ইসরাইলিদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে বলেছে। 

 

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) ভবনে হামলার পরই ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

 

ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও হোম ফ্রন্ট কমান্ডের মতে, এই দফায় মোট ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং সবগুলোই প্রতিহত করার পর আক্রমণ শেষ হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু শার্পনেল উত্তর ইসরাইলে পড়েছে।

 

সোমবার সন্ধ্যায় তেহরানের তিনটি জেলায় আসন্ন হামলার সতর্কতা জারি করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তেহরানবাসীকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় তারা। 

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলার পর আবারও সরাসরি সম্প্রচারে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন

 

পাল্টা ইরানি সেনাবাহিনীও ইসরাইলের তেল আবিবের বাসিন্দাদেরও সরে যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করে। এরপরই তেহরান ও এর আশেপাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। 

 

ইসরাইলি হামলায় ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। তবে আক্রমণে কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ থাকার পর আবারও সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে। 

 

ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে আল জাজিরা ও ইরানি সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসরাইলি হামলার ঘটনা নিয়ে উপস্থাপক যখন টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারে ছিলেন, তখনই একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় উপস্থাপককে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। 

 

এদিন সকালেই ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছিলেন, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিও ‘অদৃশ্য হতে চলেছে’। তেহরানের যে জেলায় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত, সেখান থেকে সরে যাওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়। 

]]>