বিবিসি ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিবে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী দেখা গেছে। তবে এটা বিস্ফোরণের ফলে নাকি বিস্ফোরণ প্রতিহত করার চেষ্টা থেকে, তারা তা নিশ্চিত করতে পারেনি। ইসরাইলের চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে। হায়ুম জানিয়েছে, দেশটির ৭টি জায়গায় রকেট আঘাত হেনেছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। তারা অন্তত পাঁচজনের আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলা প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি সর্বসাধারণকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় ইরানের যেসব শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের হামলার জবাব দেওয়া শুরু করেছে। ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তারা কয়েকশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির নির্দেশে তারা ইসরাইলের মিলিটারি ও আকাশ প্রতিরক্ষা ক্যাম্পগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আঞ্চলিক যুদ্ধ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন ট্রাম্প
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাতে অপারেশন রাইজিং লায়ন নামে ইরানে আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল। ইরানে এখন পর্যন্ত এটিকে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়েই ইসরাইলের প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান অভিযানে যোগ দেয় এবং ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে হামলা চালায়। এদের মধ্যে ছিল পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক মিসাইল স্থাপনাগুলো, সামরিক ঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম। পরবর্তীতে শুক্রবার বিভিন্ন সময় নতুন করে আরও বেশ কিছু হামলা চালায় ইসরাইল।
এসব হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান, রেভ্যলুশনারি গার্ডের প্রধানসহ অন্তত ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এছাড়া অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসা কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরই ইরান এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার কথা জানায়।