ইসরাইলি হামলায় কোমায় লেবাননের ফুটবলার

৩ ঘন্টা আগে
কয়েকদিন আগেই লেবানন জাতীয় নারী ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিলেন সেলিন হায়দার। আসন্ন ওয়েস্ট এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের জার্সিতে মাঠে নামার কথা ছিল তার। তবে সেসব এখন অনেক দূরের বিষয়। বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ফুটবলারের জন্য।

বৈরুতে ইসরাইলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন সেলিন। বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে নিজ বাসার পাশে আহত হন সেলিন। বর্তমানে হাসপাতালের কোমায় আছেন তিনি। 

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, ইসরাইলি হামলার ঝুঁকি থাকায় অনেকদিন আগেই সেলিনের পরিবার বৈরুত থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। অনুশীলনের সুবিধার কথা চিন্তা করে শহরে থেকে গিয়েছিলেন সেলিন। তবে সেটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল তার জন্য। 

 

হামলার আগে ইসরাইলের আগাম ঘোষণা শুনে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাবেন- এমনটাই ভেবে রেখেছিলেন সেলিন। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। শনিবার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যখন বৈরুতের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়, সেলিন তখন ঘুমে। পরিবার থেকে যোগাযোগ করে যখন জানানো হয়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।    

 

ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া বোমায় শুরুতে একটি মোটরসাইকেলের ওপর ছিটকে পড়েন সেলিন।  এসময় শ্রাপনেলের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হন সেলিন। মাথার খুলিতে একাধিক ফাটল এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

 

সেলিনের কোচ সামার বারবারি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বৈরুতের সেন্ট জর্জ হাসপাতালের নিবিড় চিকিৎসা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে সেলিনকে। এখন পর্যন্ত তিনি চেতনা ফিরে না পেলেও সেলিনের সুস্থ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তার বাবা-মা। সেলিনের মা সানা বলেন, ‘আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি মা। তুমি একজন হিরো। আমি রাতে স্বপ্ন দেখি, তুমি ফিরে এসেছ’। 
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন