ইসরাইলি হামলায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিহত

৩ সপ্তাহ আগে
তেহরানে ইসরাইলের সামরিক হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ জুন) আইআরজিসির বরাত দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে আইআরজিসি কেন্দ্রে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ।

 

ইরানের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা রক্ষায় তার বিচক্ষণতা ও অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য নিহত সিনিয়র এই কমান্ডারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

 

আরও পড়ুন: ইরানে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত, আহত তিন শতাধিক

 

আইআরজিসি জানিয়েছে, প্রয়াত কমান্ডার প্রতিরোধ ফ্রন্টের একজন বিশিষ্ট ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং শক্তির প্রতীক ছিলেন।

 

এর আগে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরাইলে হামলার প্রস্তুতি নিতে হাজিজাদেহ ও তার শীর্ষ সহকর্মীরা একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে বৈঠক করছিলেন। ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় পুরো সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে যায়।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলা / পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললো ইরান

 

আইডিএফের দাবি, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মূল নেতৃত্বে ছিল আইআরজিসির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল।

 

শুক্রবার স্থানীয় ভোররাতে অপারেশন রাইজিং লায়ন নামে আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল। ইরানে এখন পর্যন্ত এটিকে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়েই ইসরাইলের প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান অভিযানে যোগ দেয় এবং ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে হামলা চালায়। এদের মধ্যে ছিল পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক মিসাইল স্থাপনাগুলো, সামরিক ঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম। পরবর্তীতে শুক্রবার বিভিন্ন সময় নতুন করে আরও বেশ কিছু হামলা চালায় ইসরাইল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন