ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্টারমারের ঘোষণা হামাসের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করছে এবং এই উদ্যোগ ভুক্তভোগীকেই শাস্তি দেয়ার সমান।
এতে আরও বলা হয়, ‘ইসরাইল সীমান্তে আজকের একটি জিহাদী রাষ্ট্র, আগামীকাল ব্রিটেনকেও হুমকি দেবে। জিহাদি সন্ত্রাসীদের প্রতি তুষ্টি সবসময় ব্যর্থ হয়। এটি আপনাকেও ব্যর্থ করবে। এটি ঘটবে না।’
এদিকে যুক্তরাজ্যে বিরুদ্ধে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ এনেছে দখলদার ইসরাইল।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ না থামলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে দেয়া স্টারমারের আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফরাসি পদক্ষেপ এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপের মধ্যে এই সময়ে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থানের পরিবর্তন হামাসের জন্য একটি পুরস্কার এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনের প্রচেষ্টা এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এর আগে মঙ্গলবার নিজের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘যদি ইসরাইল গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতি অবসানে বাস্তব পদক্ষেপ না নেয়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি না করলে, পশ্চিম তীরকে অধিগ্রহণ করা হবে না এমন নিশ্চয়তা না দিলে এবং দ্বিরাষ্ট্র গঠনে দীর্ঘ শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হলে আগামী সেপ্টেম্বরেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য।’
আরও পড়ুন: ইসরাইলের দুই মন্ত্রীর নেদারল্যান্ডসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে জাতিসংঘের অধিবেশনের আগে সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আবার পর্যবেক্ষণে বসবেন তারা। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে স্টারমারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। কয়েক দিন আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়ে তার উদ্দেশে চিঠি লেখেন যুক্তরাজ্যের ২২১ জন আইনপ্রণেতা। তাদের মধ্যে স্টারমারের দল লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারাও ছিলেন।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তার দেশ।
সূত্র: বিবিসি, টাইমস অব ইসরাইল