ইসরাইল-সিরিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হতে পারে

৯ ঘন্টা আগে
ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হতে পারে। এমনটাই বলছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। বিশ্লেষকরা জানান, গোপন বৈঠক, সৌদি আরবের মধ্যস্থতা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপ সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় কূটনৈতিক রদবদলের সম্ভাবনা বাড়ছে। তবে গোলান মালভূমি ও ফিলিস্তিন প্রশ্নে দ্বন্দ্ব থেকেই যাবে বলে মনে করেন তারা।

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় থেকে দেশ দুটি এখনও কার্যত যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। ১৯৭৪ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও পরে তা ভেঙে যায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসনামলে প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে ছিল শাপে-নেউলে সম্পর্ক।

 

সিরিয়ার সরকার ব্যবস্থার রদবদলের পর থেকেই নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা যুক্তরাষ্ট্র, আরব দেশগুলো এবং এমনকি ইসরাইলের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে কি না তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়ে গেছে।

 

এর মধ্যেই সিরিয়া-ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের খবর প্রকাশে করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম। আর কাতার-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন বলা হয়, আব্রাহাম চুক্তির আওতায় এবার নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারে দামেস্ক-তেল আবিব।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি ‘গণহত্যায়’ সহযোগী কোম্পানিগুলোর তালিকা প্রকাশ

 

সিরিয়ায় আলোচনার সূত্রপাত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর পুরো উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি সফরে শারা'র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সিরিয়া-ইসরাইল স্বাভাবিকীকরণের জন্য উৎসাহ দেন। তবে বাস্তবতা বলছে, স্বাভাবিকীকরণ এখনো অনেক দূরের পথ। বিশ্লেষকদের মতে, গোলান মালভূমির দখল ও ইসরাইলি আগ্রাসন প্রশ্নে আপস করবে না সিরীয় সরকার।

 

তবে আল জাজিরা বলছে, বর্তমানে সিরিয়ার সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি করতে চাইছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে সিরিয়া চাইছে গাজায় ইসরাইলের আক্রমণ বন্ধ হোক। এছাড়া তুর্কি ঘাঁটি, ইরানি মিলিশিয়া ও হিজবুল্লাহ এই তিনটি বিষয় নিয়েও ইসরাইলের কড়া শর্ত রয়েছে।

 

চলমান গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ইসরাইল একযোগে লেবাননেও অভিযান চালিয়েছে। আবার পাশাপাশি সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে সম্পর্কের রূপরেখা চাইছে তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন এক সময়ে যখন ইরান দুর্বল ও ফিলিস্তিন ইস্যু অনিশ্চয়তায় তখন এই কূটনৈতিক চেষ্টাকে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন মানচিত্র আঁকার সূচনা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

 

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন