সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে ট্রাম্পের চেয়ারে গ্লাস হাতে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এসময় অনেকেই বলেছিলেন, এ ঘটনার পর ইলন-ট্রাম্পের সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পরতে পারে। তবে সব গুঞ্জন পাশ কাটিয়ে সম্প্রতি এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইলন মাস্ককে আরও বেশি ক্ষমতা দিয়েছেন ট্রাম্প।
এ আদেশের মাধ্যমে তিনি মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ বা ডিওজিইকে সহযোগিতা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মীর সংখ্যা কমানো এবং অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ বন্ধের উদ্দেশে এ দফতরটি ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর গঠন করা হয়েছে।
ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মীসংখ্যা ব্যাপকভাবে কমানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, যেখানে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া প্রতি চার কর্মীর বিপরীতে কেবল একজন নতুন কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে। ট্রাম্পের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে মাস্ক ডিওজিইকে একটি অনির্বাচিত শাখা হিসেবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ২ গণমাধ্যম বন্ধের প্রস্তাব ইলন মাস্কের!
তিনি আরও বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকা যেভাবে ব্যয় হয়, তা আরও দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এছাড়া ট্রাম্প আবারও ইউএসএআইডির কড়া সমালোচনা করেছেন। সংস্থাটিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন,
ইউএসএআইডি অদক্ষ এবং ভয়ংকরভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা দেশকে পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হয়েছি। তাহলে কেন আমাদের এটা দেখার অধিকার থাকবে না যে জনগণের অর্থ সঠিক জায়গায় যাচ্ছে কি না, সততার সঙ্গে ব্যয় হচ্ছে কি না।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি কর্মচারী এরমধ্যেই স্বেচ্ছায় পেনশন নিয়েছেন এবং তারা আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুন: ওপেনএআই কিনতে চান মাস্ক, পাল্টা প্রস্তাব অল্টম্যানের!
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বিশ্লেষকরা জানান, এ আদেশের কারণে সরকারি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে এবং অর্থনীতি আরও চাপের মুখে পড়তে পারে। তবে ট্রাম্প এবং মাস্ক আশাবাদী যে, এই উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করতে সহায়ক হবে।
]]>