বাংলাদেশ সময় রাত ২টার দিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরাইলের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তেল আবিবের ইচিলোভ হাসপাতালে ১৮ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পেতাহ টিকভার বেইলিনসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রামাত গানের শেবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ জনের মধ্যে আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহতদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের চোট রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সার্পনেলের ক্ষত, ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট এবং মানসিক আঘাত (শক)।
ইরান এই পাল্টা আক্রমণের নাম দিয়েছে 'অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩'। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (বিপ্লবী গার্ড বাহিনী) জানিয়েছে, তারা "ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তু, সামরিক স্থাপনা এবং বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেল আবিবে ভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কা
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এর পরপরই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ পেতে থাকে। তেল আবিব ও জেরুজালেমের রাতের আকাশ বিশাল অগ্নিগোলায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে হামলা হয়েছে। এছাড়াও, অন্যান্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর আশপাশে থাকা ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তারপর খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
আক্রমণ শুরুর পর ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, তারা ইসরাইলের ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। যার মধ্যে সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
রাত ১২টার দিকে দেওয়া দ্বিতীয় বিবৃতিতে আইআরজিসি জানায়, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইউনিটগুলো সেইসব ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যেগুলো থেকে ইরানের উপর হামলা শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অবস্থিত অস্ত্র উৎপাদনকারী শিল্পস্থলসহ অন্যান্য সামরিক স্থাপনাও লক্ষ্যবস্তুতে ছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, জেরুজালেম ও তেল আবিবের আকাশে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি দেখা গেছে। ওই সময় ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল।
তেল আবিবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবিও প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েল “যুদ্ধ শুরু করেছে” এবং তার জবাবে ইরান “ভয়াবহ আঘাত হানবে”।
আরও পড়ুন: ‘আঞ্চলিক যুদ্ধ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন ট্রাম্প
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের লড়াই ইরানি জনগণের সঙ্গে নয় বরং তাদের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন: “সামনে আরও কিছু আসছে। এই শাসকগোষ্ঠী জানে না কী তাদের উপর নেমে এসেছে বা কী আসছে। তারা কখনও এতটা দুর্বল ছিল না।”