যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তেহরানের সঙ্গে পরমাণু বৈঠকের ভাবনা প্রকাশ করার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা শুক্রবার বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে সমঝোতা “বুদ্ধিদীপ্ত, বিজ্ঞ বা সম্মানজনক নয়।”
আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই আরও বলেছেন, “এই ধরনের সরকারের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা উচিত নয়,” তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বোঝাপড়া বন্ধ করা বিষয়ে সরাসরি কোনও আদেশ দেননি তিনি।
তেহরান কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, কয়েকশো কোটি ডলারের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে তারা তাদের দ্রুত অগ্রসরমান পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা করতে ইচ্ছুক। তবে, খামেনেইয়ের এই মন্তব্য সেই জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিল।
এর পর কী হবে তা অস্পষ্টই রয়ে গেল; বিশেষ করে সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ান বৃহস্পতিবারেও পশ্চিমের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তেহরানে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি খামেনেইয়ের বার্তা আগস্ট মাসে তার নিজের মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক; আগস্টের বার্তায় বৈঠকের দরজা খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।
খামেনেই উল্লেখ করেন, কড়া নিষেধাজ্ঞা তোলার বিনিময়ে আগের পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাম্প একপাক্ষিকভাবে সরে গিয়েছিলেন; এই চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও সরঞ্জামের মজুদ অনেক সীমিত করেছিল।
খামেনেই বলেন, “আমেরিকানরা তাদের দিক থেকে চুক্তি বজায় রাখেননি। বর্তমানে যে ব্যক্তিটি দফতরে রয়েছেন, তিনি চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। তিনি করবেন বলেছিলেন এবং তিনি তা করেছেন।”
খামেনেই এমন মন্তব্য কেন করলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ইরানের উপর পুনরায় “সর্বোচ্চ চাপ” দিতে মঙ্গলবার এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি তেহরানের সঙ্গে সমঝোতা করতে ইচ্ছুক। এরপরই খামেনেইয়ের এমন মন্তব্য।
ট্রাম্প ওভাল দফতর থেকে বলেন, “আমি এটা স্বাক্ষর করব, তবে আশা করি এটা আমাদের বেশি ব্যবহার করতে হবে না। আমরা দেখব, ইরানের সঙ্গে কোনও সমঝোতা বা আলোচনা করতে পারি কিনা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইরানের উপর কঠোর হতে চাই না। আমরা কারও উপর কঠোর হতে চাই না। তবে, তাদের পরমাণু বোমা থাকতে পারবে না।”