টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বজুড়ে ইসরাইলি দূতাবাসগুলোকে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বের সব ইসরাইলি মিশনগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে এবং কনস্যুলার সেবা প্রদান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ইরানের তাবরিজ-শিরাজ শহরে ইসরাইলের নতুন হামলা
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বিদেশে থাকা সব ইসরাইলিকে তাদের অবস্থান এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে সর্বশেষ তথ্য জানানোর পরামর্শ দিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একই ধরনের একটি নির্দেশনা জারি করেছিল।
এদিকে সুইডেনে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাস জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা কোনো কনস্যুলার সেবা দেবে না।
দূতাবাস জানায়নি যে কতক্ষণ মিশনগুলি বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার ভোররাতে ইসরাইলি বিমানবাহিনী তেহরানের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালায়। এসব হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরি, ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)-এর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, ইরানের খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের প্রধান মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদসহ অন্তত ছয়জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন।
আরও পড়ুন: ইরানের বিপ্লবী গার্ডের নতুন প্রধান নিয়োগ দিলেন খামেনি
ইরান ইসরাইলে পাল্টা শতাধিক ড্রোন পাঠালেও সেগুলো ইসরাইলে আগাত হানার আগেই প্রতিহত করার দাবি করেছে আইডিএফ।
এদিকে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজ ও শিরাজ শহরে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের বিমান বাহিনী। এছাড়া নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়ও নতুন করে হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেন, ‘ইরানে অভিযান কেবল শুরু হয়েছে। সামরিক বাহিনী ইরানের পরিকল্পনা অনুসরণ করছে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
]]>