ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা ফেলবে যুক্তরাষ্ট্র?

৩ সপ্তাহ আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোর্ডোতে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা হামলা চালাবেন কিনা তা নিয়ে ভাবছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

টাইমসের মতে, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা, ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর ব্যবহার করেই এই স্থাপনায় পৌঁছানো সম্ভব, যেখানে আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে।

 

এতে আরও বলা হয়, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে পাঁচ দিন ধরে চলা যুদ্ধের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিবেচনা করছেন। ফোর্ডোতে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ধ্বংস করতে ইসরাইলকে সাহায্য করে লড়াইয়ে নামবেন কিনা। যেখানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাঙ্কার বাস্টার পৌঁছাতে পারে।

 

আরও পড়ুন:তেহরান খালি করতে ট্রাম্পের নির্দেশনার পরই বিস্ফোরণ

 

যদি তিনি এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, মানে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা হামলার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন সংঘাতে সরাসরি অংশগ্রহণকারী হয়ে উঠবে।


অথচ এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বার বার বলে এসেছে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি। এছাড়া এ ধরনের কোনো পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।


যদিও ইরানি কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তাদের স্থাপনাগুলোতে হামলায় মার্কিন অংশগ্রহণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির অবশিষ্ট সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলবে, যা ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি এখনও অনুসরণ করতে আগ্রহী।


একজন মার্কিন কর্মকর্তার মতে, এক পর্যায়ে ট্রাম্প তার মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ এবং সম্ভবত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ইরানিদের সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিতে উৎসাহিত করেছিলেন। কিন্তু সোমবার ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যে ইরানিদের অবিলম্বে তেহরান ত্যাগ করতে হবে। যা কূটনৈতিক অগ্রগতির লক্ষণ নয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

 

আবার সোমবার ট্রাম্প এও বলেন, ‘আমি মনে করি ইরান মূলত আলোচনার টেবিলে আছে, তারা একটি চুক্তি করতে চায়।’

 

কর্মকর্তারা বলছেন, যদি  ভ্যান্স এবং উইটকফ ইরানিদের সাথে দেখা করেন, তাহলে ইরানের সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।

 

যিনি সোমবার একটি চুক্তির প্রতি আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি ট্রাম্প কূটনীতির প্রতি আন্তরিক হন এবং এই যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী হন, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ফলপ্রসূ হবে।’

 

এদিকে, সোমবার রাতে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, জরুরি অবস্থা ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে ট্রাম্প গ্রুপ অফ ৭ শীর্ষ সম্মেলন তাড়াতাড়ি ত্যাগ করছেন।

 

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি। কিন্তু আমাকে এখান থেকে এখনই চলে যেতে হবে।’


তবে তিনি কী করতে চেয়েছিলেন তা স্পষ্ট করা হয়নি।

 

আরও পড়ুন:নতুন করে ৩৬ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

 

এদিকে, আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেখাটিতে সংবাদের পরিবর্তে বিশ্লেষণকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প এ ধরনের কোনো কিছু ভাবছেন কিনা তা নিয়ে কোনো উৎস বা সূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন