ইরানের ওপর বড় ধরনের হামলা ‘সফল’-দাবি ইসরায়েলের; আরও হামলা বন্ধে ইরানের উপর চাপ দিতে দেশগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

৪ সপ্তাহ আগে
ইসরায়েল বলেছে, তারা এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াইয়ের পর ইরানের ওপর বড় একটি হামলা সম্পন্ন করেছে, যা ইসরায়েলে ইরান সমর্থিত হামাসের আক্রমণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল; এবং তেহরান ও তার পক্ষ অবলম্বনকারী আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলির  সরাসরি  সম্পৃক্ততায় বহুমুখী সংঘাতে পরিণত হয়েছে।  শনিবার সকালে জারি করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো “ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক হামলা চালানোর পরে” নিরাপদে দেশে ফিরে এসেছে। তেহরান সময় রাত আড়াইটার দিকে ইরানে বিস্ফোরণের প্রথম খবর পাওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর তারা এই বিবৃতি দিলো।   ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা সংস্থার বরাত দিয়ে জানায়, তেহরান এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশের সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এতে বলা হয়, ইরানি বাহিনী বেশিরভাগ হামলা ‘সফলভাবে’ প্রতিহত করেছে তবে নিশ্চিত করেছে, এতে কেবল ‘সীমিত ক্ষতি’ হয়েছে।   ইরানি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলি বিমান হামলা প্রতিহত করা বা ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ দেয়নি। তবে ইরানি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় দুজন সেনা নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদদাতাদের বলেন, ইসরায়েল “ইরানজুড়ে এবং জনবহুল এলাকার বাইরে একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত বিমান হামলা চালিয়েছে”। সৌদি আরব, মিশর, ইরাক, ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চল, লিবিয়া, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন, বাংলাদেশ, তুরস্ক, পাকিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলের সরকার এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলে, এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে ইসরায়েলের অভিযান সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে শুক্রবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। দুজনেই ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং গণমাধ্যম প্রতিবেদন জানিয়েছে  তাদেরকে এই ঘটনার হালনাগাদ সংবাদ প্রদান অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আমাদের এই হামলার বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল, কিন্তু আমরা এতে জড়িত নই।” পেন্টাগনের প্রেস সচিব মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার থেকে পাওয়া কথোপকথনের এক পাঠ থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের সাথে কথা বলেছেন এবং ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলার হালনাগাদ তথ্য পেয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, অস্টিন ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এবং ভয়েস অফ আমেরিকার ফারসি বিভাগের বিশ্বাসযোগ্য বলে বিবেচিত ভিডিওতে দেখা গেছে, শনিবার ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রাতে তেহরানের আকাশে গোলাবর্ষণ করছে। সেসময় ইসরায়েলি বিমান হামলার বিস্ফোরণের শব্দে জেগে ওঠা কিছু ইরানি তাদের ছাদ বা জানালা থেকে সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, পেন্টাগন এই মাসের গোড়ার দিকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল তাদের সবই ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণের আগে এই অঞ্চলে এসেছিল।   ভয়ের অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা প্যাটসি উইদাকুসওয়ারা, ন্যাশনাল সিকিউরিটি সংবাদদাতা জেফ শেল্ডিন এবং পেন্টাগনের সংবাদদাতা কার্লা বাব এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।                      
সম্পূর্ণ পড়ুন